Home জাতীয় ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লেগে ৩০ জন নিহত

ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লেগে ৩০ জন নিহত

41

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লেগে ৩০ জন নিহত হয়েছে।আগুনে দগ্ধ হয়েছে দুইু শতাধিক যাত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২.৪৫ মিনিটে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে । এবং অন্তত ৭০ জন যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ।

জানা যায়, লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ এর অধিক যাত্রী ছিল। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।

লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

লঞ্চের যাত্রী সাইদুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

রাত তিনটা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি। এই যাত্রী বলেন, লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।

ইতালিফেরত এই যাত্রী বলেন, পোড়া গন্ধ পেয়ে আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী, শ্যালক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি। লঞ্চ ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে থেমেছে। তবে এটুকু বলছি, লঞ্চের কোনো অংশ পোড়ার বাকি নেই।