স্টাফ রিপোটার: ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপির ৪৮ লাগাতার দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির আজ দ্বীয় দিন।এদিকে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ সকাল-সন্ধ্যা এবং বাম গনতান্ত্রিক জোট সারাদেশে অর্ধ দিবস হরতাল পাল করছে।
সোমবার ( ১৩ নভেম্বর ২০২৩) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনে, অবরোধ চলাকালীন সড়ক পথ, নৌ-পথ ও রেলপথে সকল যনচলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ী, অ্যাম্বুলেন্স,অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ী ও জরুরী ঔষধ পরিবহন।
আজকের অবরোধে রাঝধানীতে যন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যাত্রী পরিবহনের চালকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনির তুলনায় যাত্রী কম চলাচল করছে।
রেলপথের খবর নিয়ে জানাগেছে, সকাল থেকে কমলাপুর থেকে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন ছেড়ে গেছে। কোথাও কোন সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি।ষ্টেশনে যেকোন ধরনে অপ্রতিকর ঘটনা মোকাবেলায় আইশৃংখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।তবে টাঙ্গাইলে একটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাতে ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সদরঘাটে খবর নিয়ে জানাগেছে, নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী তুলনামুলক কম রয়েছে। সকাল থেকে ভোলা, চাঁদপুর লঞ্চ ছেড়ে গেছে। কোথাও অবরোধ আহবানকারীদের তৎপরতা দেখা যায়নি।ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছেছে।
বুধবার বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা, জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর্যুপরি আহ্বান উপেক্ষা করে সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তামাশার তফসিল ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে অতীতের মতোই আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য মেরুদন্ডহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা আমরা চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হাসিনা মার্কা একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফসিল-রঙ্গ জনগন মানে না। এই নীলনক্সার নির্বাচনের তফসিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন হবে না।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল- বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারো হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হবে।
