Home সারাদেশ “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গতি ফিরিয়ে আনতে হবে” —সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

“বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গতি ফিরিয়ে আনতে হবে” —সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

32

জাকির হোসেন আজাদী: বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ” এর গতি ফিরিয়ে আনার দাবী করেছেন ন‍্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ। এবং অনতিবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি বাস্তবায়ন করারও দাবী করেন তাঁরা।

গতকাল (২৮ মে ২০২৩) রোজ রবিবার, সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনয়তনে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব খম আমীর আলী বলেন, “বিগত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, জেলা প্রশাসককে জেলা কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা কমান্ডার বানানো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর শুধু অবমাননা করাই
নয় পরিষ্কার ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হয়েছে। আমরা এই চক্রান্ত থেকে মুক্তি চাই।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে একটি সংগঠন উপহার দিয়েছেন, যার নাম “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ”। আমরা সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া পবিত্র সংগঠন “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ” কে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অতিসত্তর ফেরৎ দেওয়ার বিনীত নিবেদন করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.কাজী বজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোজাম্মেল হক (বীর প্রতিক), সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাঃ আঃ সালাম খান(বারডেম), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাম্মৎ রুবিনা খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম পরিচালক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। তাছাড়া সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব খম আমীর আলী আরও বলেন, ” বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত একটি চক্র রাজাকার ও অ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় টাকার বিনিময়ে সন্নিবেশিত করছে বলে শোনা যায়। যাহা দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত অবমাননাকর। মুক্তিযোদ্ধাদের ভোটার তালিকায় রাজাকার ও অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ২০২২-২৩ স্থগিত ঘোষনা করেন। এর পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একদল মুক্তিযোদ্ধা নামধারী স্বার্থান্বেষী মহল এই মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন দেওয়ার জন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হলে সারা বাংলাদেশে
মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ভূলণ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের দেওয়া সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।”

তিনি বলেন, ” মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নিরীখে- বর্ণিত বিষয়সমূহের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ১৯৭২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ” এর কমিটি যাহা মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত বিধায়
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রস্তাবিত এ্যাডহক কমিটি অতিসত্তর যাহাতে অনুমোদন পায় তাঁর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম অতিতের ন্যায়- ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষাণ করছি।”