Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবি’র ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে প্রশাসনের দায়সারা কর্মসূচি

বশেমুরবিপ্রবি’র ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে প্রশাসনের দায়সারা কর্মসূচি

49

শেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এই বছরের ৮ই জুলাই হলেও প্রথমে ইদুল আযহা’র ছুটির কারণে উদযাপনের তারিখ ২৮ জুলাই নির্ধারণ করা হয়৷ নির্ধারিত তারিখের ঠিক একদিন আগে আবারও পিছানো হয়েছে উদযাপনের তারিখ৷

বুধবার (২৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

বিজ্ঞপ্তিতে উদযাপনের তারিখ পাল্টানোর নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করা হলেও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনিবার্য কারণবশতঃ পূর্বনির্ধারিত ২৮ জুলাই ২০২২ তারিখের পরিবর্তে ৩১ জুলাই ২০২২ তারিখে উদযাপিত হবে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো কর্মসূচী না থাকলেও দায়সারা কর্মসূচীর তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ কর্মসূচীসমূহ হলোঃ
১। ৩১ জুলাই সকাল ১০.০০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও কবুতর অবমুক্তকরণ।
২। ৩১ জুলাই সকাল ১০.১৫ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা।
৩। ৩১ জুলাই সকাল ১০.৩০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কাটা অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে এমন দায়সারা কর্মসূচী দেখে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা৷

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, “যে সমস্ত কমিটি আছে তারা খুব একটা ইফেক্টিভ না আমি বলবো তাই৷ উপাচার্যতো নিজেই যাইয়া করবে না সব কাজ৷এরা সব সময়ই শেষের দিকে কাজ করে৷ এইটা ৮ তারিখই করতে পারতো না? যতো কষ্ট হইতো ৮ তারিখেই তো করতে পারতো৷ এখানে যারা আছে তাদেরকে নিয়ে করতো৷ বন্ধ ছিল ঠিকই কিন্তু ৮তারিখে চাইলে করতে পারতো৷ করেনি৷ তারপর অন্য ডেট ফিক্সড করলো৷ গতকালকে মিটিং এ বসলো৷ গতকালকে মিটিং এ বসে কি হবে দুইদিন পর অনুষ্ঠান৷ আগামীকাল আমি থাকতে পারবো না জরুরী মিটিং এ যেতে হবে ইউজিসিতে৷”

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এমন সাদামাটা অনুষ্ঠানই কেন তার উত্তরে উপাচার্য বলেন, “বড় অনুষ্ঠান করা যাবে না প্রধান কারণ আমার ফান্ড নাই৷ এই ব্যাপারে ইউজিসি এক পয়সা ফান্ড দেয় না৷ এই ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীরা এক পয়সা ফান্ড দেয় না৷ আমি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করি না বা তারাও পয়সা দেয় না৷ সুতরাং যা করতে হয় কিছুটার ভিতরই করতে হবে৷ আমার ভার্সিটির অবস্থাও খুব একটা ভাল না৷”

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির প্রধান ড. মোঃ শাহজাহানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।