Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবিতে হল দখলের জেরে সংঘর্ষ, লাঞ্চিত শিক্ষক

বশেমুরবিপ্রবিতে হল দখলের জেরে সংঘর্ষ, লাঞ্চিত শিক্ষক

58

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধভাবে শেখ রাসেল হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে হল প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সাথে তথাকথিত ছাত্রনেতা ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ইটিই বিভাগের (বর্তমান ইইই) শিক্ষার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে গালি-গালাজ ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এরপর হল থেকে বের হয়ে গ্রুপটি শোডাউন দিতে দিতে হলের জানালার কাচ ও জিনিসপত্র ভাংচুর করলে অপর দুই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে আসে ও দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা তথাকথিত সেই ছাত্রনেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। একইসাথে হল প্রভোস্টকে লাঞ্চিত করবার ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর- ইয়ামিন গ্রুপ অবৈধভাবে শেখ রাসেল হলের সিট দখল করতে গেলে সাধারন শিক্ষার্থী ও হল প্রভোস্টের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তারা শেখ রাসেল হল পার্শ্ববর্তী স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের সাথে স্থানীয় বহিরাগত লোকদের উপস্থিতি দেখা যায়। পরবর্তীতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন তারা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিবার পরিজন থেকে আমরা অনেক দূরে থাকি। আবাসন ব্যবস্থার সংকট থাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ছাত্র নেতাদের উৎপাত সহ্য করে নিতে হয়। তাদের দৈনন্দিন এসব কার্যক্রমে আমরা অতিষ্ঠ। আশাকরি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জানতে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট শেখ মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিতা বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। প্রভোস্ট হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। তবে রাতের ঘটনাটি আসলই দুঃখজনক। তারা আমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে অপমানসূচক কথা বলে লাঞ্চিত করেছে। আশাকরি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ব্যাস্ততার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বর্ধিতকরণ কার্যক্রম নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।