Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত

বশেমুরবিপ্রবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত

41

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ (২০২২) উদযাপিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ টায় ‘মাছ চাষে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে লেকপাড়ে এসে শেষ হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ কিউ এম মাহবুব, কৃষি অনুষদের ডীন ড.মোঃ মোজাহার ছাত্র উপদেষ্টা ও ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড.শরাফত আলী,ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শিরিন আক্তার,জনাব তানিয়া ইসলাম, নবনিযুক্ত প্রভাষক জনাব নেয়াজ আল হাসান ও প্রভাষক জনাব মকিদুল ইসলাম খান সহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে দেশীয় জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ।আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস।মৎস্য খাত আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।আমাদের জিপিডিতেও এ খাতের উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রয়েছে। কিন্ত আমাদের দেশের চাষীরা অতি লোভে ছোট ছোট পোনা ধরে ফেলছে।এতে দেশের মৎস্যখাত হুমকীর মুখে পড়ছে।

বশেমুরবিপ্রবি ফিশারিজ বিভাগ চার বছরেও ল্যাব সুবিধা পায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বিভাগের প্রথম ব্যাচ গুলোকে সব সময়ই স্যাক্রিফাইস করতে হয়।যেহেতু আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ছিলনা এবং নানামুখী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন বন্ধ ছিল।তাই অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও আমাদের করার কিছু থাকেনা। আমি তো রাতারাতি কিছুই করতে পারব না।এর জন্য সময় দরকার।

এ প্রসঙ্গে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড.শরাফত আলী বলেন, নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ আজ আনন্দ র‍্যালি ও লেকে পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।

তিনি আরো বলেন, ২০২০-২১ সালে দেশের মোট উৎপাদিত মাছের পরিমান ছিল ৪৬.২১ লক্ষ মেট্রিক টন।যা সামগ্রিক জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিকে আরো দূঢ় ও এবং দেশের জনগোষ্ঠীকে স্বর্নিভর করার পাশাপাশি মানসম্মত প্রোটিনের চাহিদা নিশ্চিতকরনে মৎস্য খাতের ভুমিকা অনস্বীকার্য। মৎস্য খাত প্রানিজ আমিষের ৬০% যোগান দিয়ে থাকে তাই নিরাপদ ও সঠিক উপায়ে মাছ চাষ অতীব জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ কিউ এম মাহবুব,
কৃষি অনুষদের ডীন ড.মোঃ মোজাহার ছাত্র উপদেষ্টা ও ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড.শরাফত আলী,ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শিরিন আক্তার,জনাব তানিয়া ইসলাম, নবনিযুক্ত প্রভাষক জনাব নেয়াজ আল হাসান ও প্রভাষক জনাব মকিদুল ইসলাম খান সহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।