Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বন্ধ শেখ রাসেল হলের ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

বন্ধ শেখ রাসেল হলের ক্যান্টিন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

348

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জাবি) শেখ রাসেল হলের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন ধরে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন হলের প্রায় সহস্রাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী। পাঁচ মাস না পেরোতেই হলের ক্যান্টিন বন্ধ হওয়াতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী।

অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ছয়টি আবাসিক হলের মধ্যে দুটির নির্মাণকাজ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়। গত ২৩ জানুয়ারি ফজিলাতুন্নেছা হল ও শেখ রাসেল হলের চাবি তুলে দেওয়া হয় প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছায়েদুর রহমান ও ড. তাজউদ্দিন শিকদারের হাতে। পরে ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ২৮ জানুয়ারি তড়িঘড়ি করে ছাত্রীদের হল খুলে দিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ২৯ জানুয়ারি ছাত্রদের শেখ রাসেল হল খুলে দেওয়া হয়।

শেখ রাসেল হল চালু হওয়ার দেড়মাস পরেও হলের ডাইনিং চালু করতে ব্যর্থ হয় হল প্রশাসন। এরপর ডাইনিংয়ের বিকল্প হিসেবে হলে ক্যান্টিন চালু করা হয়। কিন্তু পাঁচ মাস না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় হলের ক্যান্টিন।

শিক্ষার্থীরা জানায়,শেখ রাসেল হল থেকে সেন্ট্রাল পয়েন্টগুলো থেকে একটু দুরে হওয়ায় বটতলা বা অন্য হলে খেতে যাওয়া আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। বটতলায় খাবারের দাম‌ বেশি সাথে অস্বাস্থ্যকর। ঝড় বৃষ্টির সময় আমরা বাইরেও যেতে পারি না। আমাদের হলে ক্যান্টিন না থাকায় খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমরা বেশ চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. তাজউদ্দিন শিকদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,” আমার হলে গ্যাস না থাকার কারণে কোন ক্যান্টিন মালিক কাজ করতে ইচ্ছুক নয়, কাজ করলে চড়া দামে খাবার বিক্রি করতে হবে, যা কোনভাবে সম্ভব না। বেশ কয়েকমাস একজন ক্যান্টিন মালিক ক্যান্টিন চালিয়েছে, সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে চলে যান। আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আবারো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্যান্টিন চালু করার ব্যবস্থা করবো। আমরা ডাইনিং ও চালু করতে প্রভোস্ট কমিটির মিটিং জানিয়েছি। আশা করছি কিছুদিনের ভিতর ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা সম্ভব হবে।