Home সারাদেশ বকশীগঞ্জে ভণ্ডপীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বকশীগঞ্জে ভণ্ডপীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

210

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ রুবেল মিয়া।।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিণ দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলাকারীরা দরবার শরীফের পীর খাজা তৌহিদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে এবং ৭৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটতরাজ ও ভাংচুর করে। ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮টার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সোমবার রাতেই পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নামীয় আসামি ২২ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি ৫০-৬০ জন।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা।

জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিণ দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা শাহীন কয়েক মাস আগে মারা যায়।

শাহীন খাজা মারা যাওয়ার পর ভক্ত বা জাকেরদের সমর্থনে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের গদিনশীন হন শাহীন খাজার ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্লাহ। খাজা তৌহিদুল্লাহ গদিনশীন হওয়ার পর থেকেই তারই ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইম গদিনশীন হওয়ার চেষ্টা করেন।

এই নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ দরবার শরীফে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর জের ধরেই ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮টার সময় আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার সময় নামীয় ২২ জনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন লোক রাম দা, লাঠিফালা ও লোহার সাবলসহ আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। হামলকারীরা দরবার শরীফের পীর তৌহিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে খোজঁখুজি করতে থাকে।

তাকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে দরবার শরীফের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার সমপরিমান স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নেয়। একই সময় হামলাকারীরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমান বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ঘটনার খবর পাওয়ার পর বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে নামীয় ২২ জনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রধান আসামি করা হয়েছে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইমকে।

ঘটনার পর হামলার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা সাইম খাজার বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে ঘটনার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অভিযোগের বাদী অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ শতভাগ সত্য।

এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।