Home জাতীয় ‘প্রসঙ্গ বিরাষ্ট্রীয়করণ ও মজুরি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

‘প্রসঙ্গ বিরাষ্ট্রীয়করণ ও মজুরি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

52

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার পল্টনস্থ কমরেড মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের শহীদ মুনির আজাদ সেমিনার কক্ষে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ‘প্রসঙ্গ বিরাষ্ট্রীয়করণ ও মজুরি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়।

সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের (টাফ) যুগ্ম সম্পাদক আলিফ দেওয়ানের পরিচালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, কলাম লেখক ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী। আরও আলোচনা করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে শ্রমজীবী আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতা বিধান দাস, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শামীম ইমাম, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক আবু হাসান টিপু, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয় শহীদুল ইসলাম সবুজ এবং কৃষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর-কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের সভাপতি আলমগীর হোসেন দুলাল, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ সবুর, আখচাষি ইউনিয়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি আনছার আলী দুলাল প্রমুখ।

আলোচনায় পাটকল-চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিরাষ্ট্রীয়করণে সরকারের যে অপতৎপরতা, সে সম্পর্কে আলোচকবৃন্দ তুলে ধরেন–
বৈদেশিক সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানসমূহের পরামর্শে এবং দেশীয় পুঁজিপতিগোষ্ঠীর মুনাফার স্বার্থে বর্তমান সরকার যে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলোকে ধ্বংসের পাঁয়তারায় লিপ্ত, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে ভুক্তভোগী শ্রমিক-মেহনতী সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দুমূর্ল্যের বাজারে শ্রমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় শ্রমিক ও কৃষক বা উভয় পেশায় যুক্ত মানুষেরা ক্রমাগত জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই লক্ষ্যে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন ও মজুরি ঘোষণা জরুরি। অথচ সরকার বরাবরই এদিকটা এড়িয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। মাঠের আন্দোলন, সচেতনতা তৈরির আন্দোলন সবই সমন্বিত করে এগোতে হবে।

পরিশেষে নেতৃবৃন্দ আগামীতে বিরাষ্ট্রীয়করণের বিরুদ্ধে এবং ন্যূনতম জাতীয় মজুরির দাবিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতী ও সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।