Home রাজনীতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতা : তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতা : তথ্যমন্ত্রী

37

চট্টগ্রাম অফিস: তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি’র মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতারা বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের এবং বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন প্রারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত সফল সফর করে এসেছেন। পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিশ্বব্যাংক নিজেরাই বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব করেছে। জাপান আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সাহায্য করবে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন- আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। আর বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, সেই প্রস্তাব বাংলাদেশের সাথে ৭১টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’

হাছান বলেন, ‘এরপর বিশ্বময় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় আছে কি না তা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের বুদ্ধি, বোধশক্তি আছে, তারা এগুলো বুঝতে পারে, শুধু বিএনপি নেতারাই তা বোঝেন না। দৃষ্টিহীনতা ও শ্রবণহীনতার সাথে তারা বোধশক্তিহীনও হয়ে গেলেন কি না সেটি আমার বোধগম্য নয়।’

বিএনপির আন্দোলন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাড়ি বসে গেলে সেটিকে মাঝে মধ্যে যেমন স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও সেরকম। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। যাতে জং ধরে না যায়, সেজন্য মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার মতো তারা আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।’

এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন শুরু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, ‘শুধু পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটানো, জীবন গড়া, জীবন সংগ্রামে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে জয়ী হওয়া শেখাতে হবে। আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেটি পারবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সাঈদ আল নোমান। রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

ব্রতী রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলেছেন : নাগরিক স্মরণসভায় তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা ১৯ মে ২০২৩:
বুধবার বিকেলে ঢাকায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ঐক্য ন্যাপ সভাপতি জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য নাগরিক স্মরণসভা জাতীয় কমিটি আয়োজিত শোকসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে যোগ দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাজনীতি একটি ব্রত সেটি অনেকে ভুলে গেলেও পঙ্কজ ভট্টাচার্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন আজীবন সেটির জন্য কাজ করে গেছেন। আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক এই মানুষটি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুরোধা ছিলেন। অনেক নির্যাতন সয়েছেন।

মন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের দেশে সত্যিকার রাজনীতিকদেরকে জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চলতে হয়, কখন গ্রেনেড হামলা হয়, কখন গুলি হয়, কখন কি হয়। পঙ্কজ ভট্টাচার্য তাই করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ কেমন হওয়া প্রয়োজন সেটি পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে দেখলে জানা যায়। তিনি সেই উদাহরণ হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশ জেএসডি সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঐক্য ন্যাপ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এড. এসএমএ সবুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ প্রায় এক মাস আগে গত ২৪ এপ্রিল প্রয়াত জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করেন।

১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। তিনি গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক। ১৯৬৬ সালে তিনি ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।