Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পৃথিবী রক্ষায় নাসার যুগান্তকারী সাফল্য

পৃথিবী রক্ষায় নাসার যুগান্তকারী সাফল্য

22

ডেস্ক রিপোর্ট: মহাকাশ থেকে গ্রহাণু ছুটে এলে কী করতে হবে? গ্রহাণুর আঘাত থেকে কিভাবে রক্ষা করা যাবে এই গ্রহকে? একটি গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তার উত্তর পেয়ে গেছে নাসা৷

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনস্ট্রেশন (নাসা) গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিমরফোস নামের একটি গ্রহাণুকে ধাক্কা দিতে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল৷ ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট, সংক্ষেপে ডার্ট নামের মহাকাশযানটি প্রচণ্ড বেগে ছুটে গিয়ে ডিমরফোসে আঘাত করে৷ সেই আঘাতের ধাক্কায় ডিমরফোসে গর্ত সৃষ্টি হয়, ধূলা ছড়িয়ে পড়ে, দেখা দেয় আলোর ঝলকানি৷

সেই থেকে একটি বিষয়ই নিশ্চিত করার অপেক্ষায় ছিল নাসা৷ তারা দেখতে চেয়েছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সত্যি গ্রহাণুকে তার কক্ষপথ থেকে সরানো সম্ভব হয়েছে কিনা৷

মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান বিল নেলসন জানান, ১৬০ মিটার (৫২৫ ফুট) ব্যাসের গ্রহাণুকে কক্ষপথ থেকে অনেকখানি সরিয়ে দিয়েছে ডার্ট৷ এই সাফল্যকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহাকাশ আমাদের দিকে যাই ছুঁড়ে দিক এখন আমরা তা থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রস্তুত৷

আগে কখনো কোনো গ্রহাণুকে এভাবে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়নি৷ ফলে নাসার এ সাফল্য মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে অনন্য৷

এ সাফল্য অবশ্য একদিনে আসেনি৷ সাত বছর আগে এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের সেই প্রকল্প অবশেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বরের অভিযানে যুগান্তকারী সাফল্যের দেখা পেলো৷

ডিমরফোস নামের গ্রহাণুটি আরেকটি বড় গ্রহাণুকে ১১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটে প্রদক্ষিণ করছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে প্রদক্ষিণের সময় ১০ মিনিট কমাতে৷ মঙ্গলবার নেলসন জানান ১০ মিনিট নয়, সময় ৩২ মিনিট কমানো সম্ভব হয়েছে, ডার্ট ১১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের কক্ষপথকে কমিয়ে ১১ ঘণ্টা ২৩ মিনিটের করে দিয়েছে৷
আমাদের সময়.কম