Home কুটনৈতিক ও প্রবাস পিরোজপুরে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ টিটুর অত্যাচারে প্রবাসী এখন দিশেহারা

পিরোজপুরে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ টিটুর অত্যাচারে প্রবাসী এখন দিশেহারা

229

ইতালী প্রতিনিধি: দেশজুরে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের এখন জয় জয়কার। হাইব্রিডের ভীরে ত্যাগী নোতকর্মীরা যেমন অতিষ্ট তেমনি সাধারন প্রবাসীরাও আজ নিজেরদের জমি-বাড়িতে নিরাপদ নয়।
পিরোজপুর জেলার সদর থানার দাউদপুর গ্রামের প্রবাসী বাহাদুর কাজীর পরিবারে কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবী, না হলে বাড়ী থেকে উৎখাতের হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী টিটু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী বাহাদুর কাজী।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় জনাব বাহাদুর কাজী ও তার পরিবার ১৯৯৬সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান মিলুর যৌথ মালিকানাধীন “ললী” রাইস মিলের ৫০% মালিকানা আলতু হাওলাদারের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। পরবর্তীতে রাইস মিল প্রতিস্থাপনের জন্য দুই ভাগে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ও সত্তর হাজার টাকা খরচ হয় তাদের। যে রাইস মিল বর্তমানে টিটু জবর দখর করে আছেন ২০১৮ সাল থেকে। এছাড়াও জনাব বাহাদুর কাজীর বাড়ীর পেছনের ৩৩ শতাংশ জায়গার জন্য তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয় যা ও তার স্ত্রীর চিকিৎসা বাবদ খরচ করেন।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাধিন থাকার পর তার স্ত্রী মারা গেলে ও আলী আহাম্মদ খান মিলু প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আহত হলে একমাত্র মেয়ে ললি’র স্বামী সাইদুর রহমান টিটু সকল জায়গাজমিতে দখল নেয়।
কিছুদিন পূর্বে বাহাদুর কাজী ও তার সহোদর জাহাঙ্গীর কাজী দেশে গিয়ে টিটুর সাথে বিষয়টি মিমাংসার জন্য তাগাদা দিলে উল্টো তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং চাঁদা না পেলে জীবন নাশের হুমকি দেয় এমনকি তাদের নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে উৎখাত করবে বলে জানিয়ে দেয়। আর তার এই সকল সন্ত্রসী কর্মকান্ডে মদদ যোগাচ্ছেন স্থানীয় এক অশুভ শক্তি বলে জানিয়েছেন বাহাদুর কাজীর পরিবার।
পরবর্তীতে বাহাদুর কাজী ও জাহাঙ্গীর কাজী প্রবাসে ফিরে এলে তাদের নামে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা রুজু করে সাইদুর রহমান টিটু।
কে এই টিটু?
মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির পিরোরপুর জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান মিলু। এই সুবাদে তার বাড়ীর ফুট ফরমায়েশ খাটা টিটু একসময় ছাত্র সমাজের পদ বাগিয়ে নেন। পরবর্তীতে অত্যন্ত সুকৌশলে তার একমাত্র মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ দশ বছর পর দেশে ফিরে পিরোজপুর জেলা বার কাউন্সিলে সদস্য হয়ে আইন পেশায় জড়িত হয়ে তার রাজনৈতিক খোলশ পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগার বনে যান। এবং স্থানীয় একটি অশুভ শক্তির সহায়তায় জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদটি বাগিয়ে নেন।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় “এরপরই শুরু হয় তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম! যার শিকার হন এই নিরীহ প্রবাসী জনাব বাহাদুর কাজী ও তার পরিবার। একটি সুত্র জানিয়েছে এই হাব্রিড আওয়ামী লীগ কিছুদিন বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে কারান্তরীন দেলোয়ার হোসেন সাঈদির সহচর হিসেবেও কাজ করেছেন। সুত্রটি আরো জানায় তিনি তার সিনিয়র অনেক আইনজীবিকেও অপমান অপদস্থ করতে দ্বিধা করেন না।