Home জাতীয় পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি

পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি

63

স্টাফ রিপোটার: পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ন গড়ার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত ওই সুপারিশসমূহ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর আদাবরে কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবানপুওর (কাপ) মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তারা। দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), বারসিক, কাপ ও ইনসাইট্স আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল হকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, পিপুলস হেলথ মুভমেন্ট-এর সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, বারসিকের ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ, হাবিবুর রহমান, সাইফুল মাসুম, শফিকুল ইসলাম ও জাহিদা পারভেজ ছন্দা এবং বস্তিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধি ফাতেমা আক্তার ও হান্নান আকন্দ। মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন ডিএসকে কনর্সোটিয়ামের কোর্ডিনেটর মো. রকিবুল ইসলাম।
সভায় উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, সকল নগরবাসীর (প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য গোষ্ঠী) সমান সুযোগ ও অধিকার সমুন্নত রেখে, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণ, চলমান অর্থনীতি (সার্কুলার ইকোনমী) প্রবর্তন এবং টেকসই ও মানসম্পন্ন নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, ডিজিটাল মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে রকিবুল ইসলাম বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের ভাল থাকাকে সমান ভাবে প্রভাবিত করে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনে পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহকে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্তি করা অতীব জরুরি।
সাংবাদিক নেতা রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, মানুষের ভাল থাকা নিশ্চিতের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হওয়া দরকার। তাই সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্ত হবে।
উন্নয়ন কর্মী আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পেশায় যে সকল মানুষ জড়িত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি। এই কাজটি করার জন্য সকলকে সমন্বিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।