Home জাতীয় পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে আলোকসজ্জায় সজ্জিত পর্যটন নগরী কুয়াকাটা

পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে আলোকসজ্জায় সজ্জিত পর্যটন নগরী কুয়াকাটা

32

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। সৈকতের জিরো পায়েন্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পথ আলোকসজ্জা করা হয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা সৈকতের রাতের দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জার দৃশ্য পর্যটক সহ স্থানীয় অনেকের ব্যবহৃত স্মার্ট ফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে কলাপাড়া কুয়াকাটা সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে শোভা পাচ্ছে বিশাল বিশাল তোরণ ব্যানার আর ফিস্টুন। প্রতিটি হোটেল ও রিসোর্টে করা হয় আলোকসজ্জা। এছাড়া পদ্মাসেতু উদ্বোধন ঘিরে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য হোটেলের রুম বুকিংয়ে ডিসকাউন্ট সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দশকের বেশী সময়ে কুয়াকাটায় আগমন ঘটে দেশী বিদেশি হাজারো পর্যটকের। কিন্তু প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে সেই অবসান ঘটবে। পর্যটকদের সেবার মান বাড়াবে আগের থেকে কয়েকগুণ। একই সাথে দ্বার খুলবে অর্থনীতির চাকা। তাই বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে সাগরপারে বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটার একটি আমুল পরিবর্তন হবে। ঢাকা-কুয়াকাটার দূরত্বটা কমে যাওয়ার কারনে ১০-১২ ঘন্টার পথ ৫-৬ ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে। এর ফলে কয়েকগুণ পর্যটক বেশি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, শুধু মাত্র স্বপ্ন নয়। এবার বাস্তবেই গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীরা তাদের বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে পৌরসভার পক্ষ থেকে এক কিলোমিটার সড়ক জুরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুয়াকাটা বাসিদের পক্ষ থেকে ৪ টি তোরণ করা হয়েছে।
কুয়াকাটা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন,স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়া এই পদ্মা সেতু। শুধুমাত্র জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। এর সুফল ভোগ করবে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সাগর পারের মানুষ। আর সচল হবে অর্থনীতির চাকা। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কুয়াকাটাসহ নদী বেষ্টিত উপকূলের মানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মহিপুর থানার ওসি খোন্দকার মো.আবুল খায়ের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।