Home সাহিত্য ও বিনোদন নোয়াখালীতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বই ও তাক বিতরণ

নোয়াখালীতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বই ও তাক বিতরণ

22

ডেস্ক রিপোর্ট: বিজয়ের মাসে নোয়াখালী জেলার মাইজদী কোর্টের মহিলা কলেজ রোডের খাল পাড় এলাকার লুক চেঞ্জ হেয়ার কাটিং সেলুনে দেয়া হয়েছে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র সৌজন্যে দৃষ্টিনন্দন বুক সেলফ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী শিশু নিকেতনের চেয়ারম্যান রহমত উল্লাহ্ ভূঁঞা। উদ্বোধক ও ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র প্রতিষ্ঠাতা শিশুসাহিত্যিক কবি গোলাম মাওলা জসিম সেলুনের মালিকের হাতে সুসজ্জিত বই সম্বলিত সেলফ তুলে দেন

অনুষ্ঠানে রহমত উল্লাহ্ ভূঁঞা বলেন, ‘মানব জীবনের সুন্দর অভ্যাসগুলোর মধ্যে পাঠ্যাভাস অন্যতম। মানুষ বই পাঠের মাধ্যমে সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে। যুগে যুগে বই এনেছে ত্যাগের দীক্ষা, সত্য ও সুন্দরের সাধনা। আর এই সুন্দরকে প্রতিনিয়ত ধারণ করে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন গোলাম মাওলা জসিম। তিনি যেখানেই দেখেন, বই রাখার সুযোগ রয়েছে, সেখানেই তিনি পাঠকদের জন্য বই উপহার দেন। আর এই প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ নামের সৃজনশীল উদ্যোগ। প্রতিনিয়ত দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে সেলুনে সেলুনে দিচ্ছেন বুক ও সেলফ। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’

মূলত সেলুনে সেবা গ্রহীতাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন গোলাম মাওলা জসিম।

তিনি জানান, জ্ঞানের রহস্যময় ভান্ডার হল বই। বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই মানুষকে হাসাতে পাওে, দুঃখ ভ’লিয়ে দিতে পারে। বই মানুষকে হাসতে, জানতে ও বুঝতে শেখায়। মনের কুসংস্কার দূর করতে সাহায্য করে।

প্রসঙ্গত, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে নিজস্ব অর্থায়নে রতনের সেলুনে বই ও তাক বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেলুনে দেয়া হচ্ছে বই ও তাক।