Home সারাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

20

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সময় দলীয় প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তাদের পছন্দের প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ১ আসনের আলোচিত প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ, কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন কলার ছড়ি প্রতীক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ঈগল পাখি ও জোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন কাঁচি প্রতীক।
এছাড়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ১ আসন থেকে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ আসন থেকে র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ক্যাপ্টেন অব: এ, বি তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।
এদিকে, ৫ টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এবং ১টি আসন শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় আওয়ামীলীগ। ৬টি আসনের ১, ২ ও ৩ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ন নির্বাচনের পরিবেশ লক্ষ্য করা গেলেও ৪, ৫ ও ৬ আসনে আওয়ামীলীগের বিপরীতে তেমন হেভিওয়েট কোন প্রার্থী নেই। এতে করে এই আসনগুলোতে আওয়ামীলীগের এগিয়ে যাওয়ার পথ অনেকটাই সুগম হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর)
হাওড় বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিগণিত। এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন।
তবে আসন্ন এ নির্বাচনে দ্বিমূখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। আসনটিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা)। তার বিপরীতে হেভিয়েট প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান (কলার ছড়ি)। এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মোঃ শাহানুল করিম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতিক)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ)ঃ
জেলা সদরের গা ঘেঁষা এই উপজেলাটির নির্বাচনী ভোটের মাঠে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এ আসনটিতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। তবে আওয়ামীলীগ তার শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় এ আসনে জোট প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির এডঃ মোঃ রেজাউল ইসলাম ভুইয়া (লাঙ্গল)। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন এ আসনের দুবারের সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল পাখি) এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রাথী মঈন উদ্দিন মঈন (কলার ছড়ি)। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতিক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতিক), তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতিক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর)ঃ
জেলা সদর ও বিজয়নগর উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন। এ আসনে মোট প্রার্থী ৮ জন। আসনটিতে লড়াই হবে দ্বিমুখী। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতিক)। তার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও (কাঁচি প্রতিক)। এছাড়া ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতিক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওমর (মশাল প্রতিক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতিক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতিক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া)ঃ
সীমান্ত ঘেঁষা আখাউড়া উপজেরা ও কসবা উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন। এ আসনটিতে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করবেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (নৌকা প্রতিক)। তবে তার বিপরীতে হেভিওয়েট কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নেই। এতে আসন্ন নির্বাচনে মন্ত্রী এগিয়ে যাওয়ার পথ অনেকটাই সহজ ও মসৃণ হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকা অন্য দুই প্রার্থী হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান (আম প্রতিক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর)ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতিক)। তিনি ২০১৪ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধিতার রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন দুলু (লাঙ্গল প্রতিক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মমিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতিক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতিক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতিক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর)ঃ
এ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্য ৪ জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতিক)। তার সাথে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতিক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতিক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতিক)।