Home রাজনীতি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে বিএনপির নিন্দা

নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে বিএনপির নিন্দা

38

ডেস্ক রিপাের্ট: দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আগামীকাল দেশব্যাপী গণ-অবস্থান কর্মসূচির প্রক্কালে ময়মনসিংহ ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

আজ এক বিবৃতিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গণ-আন্দোলনের জোয়ারে ভীত হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রশাসনকে অপব্যবহার করে আন্দোলনের সংগঠকদের গ্রেফতার, হয়রানী করে আন্দোলন দমন করতে পুরনো এবং ভোতা কৌশল অবলম্বন করছে। এসব করে আন্দোলন দমন করা যায় না এবং আন্দোলনের জন-জোয়ারও আটকানো যায় না। বিএনপি’র বিভাগীয় গণ-সমাবেশের প্রাক্কালেও হাজার হাজার নেতা-কর্মীসহ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতাদেরকে গ্রেফতার করেও গণ-সমাবেশ সমূহে জন-জোয়ার ঠেকাতে পারে নাই। আগামীকাল ১১ জানুয়ারী ২০২৩, ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচীর প্রাক্কালে সারাদেশে গ্রেফতার, হয়রানী শুরু হয়েছে। আজ সকালে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও লৌহজং উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোক্তার হোসেন খানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করতে নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়ীতে তল্লাশির নামে পরিবার পরিজনের সাথে অসদাচরণ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও লৌহজং উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোক্তার হোসেন খানসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, গ্রেফতার-হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দমন নিপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। প্রশাসনের প্রতি তিনি বলেন, পতনের ভয়ে আন্দোলনের এই মুহুর্তে সরকার অন্যায় হুকুম দিয়ে প্রশাসনকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন নীতি অনুসরণ না করে জণগনের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দমন নিপীড়ন বন্ধ করুন। জনগণ প্রশাসনকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণকারী সরকারের পাহাড়াদার বা লাঠিঁয়াল বাহিনী বা জনঅধিকারে হস্তক্ষেপকারী নয়, গণতান্ত্রিক অধিকারের হেফাজতকারী এবং সহযোগী হিসেবে দেখতে চায়।