Home রাজনীতি নির্বাচন ব্যবস্থা এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হুমকীর মুখে...

নির্বাচন ব্যবস্থা এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হুমকীর মুখে পড়বে–জি এম কাদের

29

মাহবুবুর রহমান: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হুমকীর মুখে পড়বে। দেশের রাজনীতি আর রাজনৈতিক দলগুলো হারিয়ে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন খুবই অসহায়। তাদের যে ফলাফল ধরিয়ে দেয়া হয়, নির্বাচন কমিশন তাই ঘোষণা করছে। কোথাও কোথাও প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতাসীনদের সাথে একত্রিত হয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হয়তো আন্দোলন করতে হবে। গণমানুষের অধিকার রক্ষার আনেদালনে হয়তো আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সেজন্য জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে আহবান জানান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি গাজীপুর মহানগর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। সংবিধানের মূল চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, সাংবিধানিক ভাবেই চলছে একনায়কতন্ত্র। আর রাষ্ট্রীয় ভাবেই সমাজতন্ত্র বাতিল করে মুক্তবাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক ন্যায় বিচার নেই বললেই চলে। জাতীয়তাবাদও হুমকীর মুখে, জাতির নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় আছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে প্রতিটি ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। একনায়কতন্ত্রে ক্ষমতাসীনরা আইনের উর্ধে থাকেন। বেড়ে যায় দুর্নীতি ও দুঃশাসন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারবে না। দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুফল দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন বলছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলেই দেশের মানুষ বেশি গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করেছেন। পল্লীবন্ধুর আমলেই দেশের মানুষ বেশি সুশাসন, সামাজিক ন্যায় বিচার ও উন্নয়ণ পেয়েছে।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসজিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ পরিবর্তনের আশায় চেয়ে আছে। তারা আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে চায় না। কারন বিএনপি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বোঝে না। তারা তাদের নেত্রীর চিকিৎসা আর এক নেতার দেশে ফেরার রাজনীতিতে ব্যস্ত। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। প্রতি বছর ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। দেশের মানুষ জানতে চায় কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চায় দেশের মানুষ। দেশে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, বড় বড় কমিশনের আশায়। দেশের মানুষ পানির নিচ দিয়ে রেললাই আর মাথার উপর দিয়ে গাড়ির লাইন চায় না। দেশের মানুষ চায় প্রতিটি উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল। যেখানে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষ সকল চিকিৎসা পাবে।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর এর বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
জাতীয় পার্টি গাজীপুর মহানগর সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোঃ মোশারেফ হোসেন এর পরিচালনায় মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সিরাজুল হক, যুগ্মসচিব মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন,জিয়া উর রহমান বিপুল, গাজীপুর মহানগরের আলফাজ উদ্দিন, মোঃ আয়নাল মিয়া, জালাল মেম্বার, সেলিম পাঠান, আমজাদ সরকার, নাসির উদ্দিন,বারী মাস্টার, রমিজ উদ্দিন রাজু, জহির সরকার,আমান উল্লাহ, হারুন অর রশিদ, সাইফুল সরকার, আলহাজ্ব ইসরাফিল মিয়া,ওমর ফারুক,হাজী আবদুস সামাদ মিয়া, ইউনুস বাহারুল ইসলাম, হানিফ মাস্টার, আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর বাদল মিয়া, হিরন মিয়া, আলমগীর রেজা, আশরাফুল আলম, আব্দুল আজিজ,ছালাম মোল্লা।