Home রাজনীতি নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

29

কুমিল্লা অফিস: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; আর এই নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়। তারা ভোট চায় না; সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসতে চায়। এজন্য নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারাই মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অথচ এখন তারা বলে জণগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এ সময় যত ষড়যন্ত্র আর বাধা অসুক না কেন সংবিধান অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আগামীতে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর বাজারে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী। এদিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার শান্তির বাজার, হাসনাবাদ, কেয়ারি, বাইশগাঁও, বিপুলাসার, নাথেরপেটুয়া, খিলাসহ মোট ১২টি স্থানে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ কোন বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নোয়াবে না উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সপ্তম নৌবহর আর অস্ত্র পাঠিয়ে আমাদের বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা অর্জন করেছে। ৭৪ সালে জাহাজভর্তি খাদ্য সাহায্য ফিরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়েছিল। বর্তমানে তারা আমাদেরকে গণতন্ত্রের সবক শেখাতে চায়। তাদের কাছে গণতন্ত্র মানে দেশকে পেছনে ফেলা, দেশে সন্ত্রাস কায়েম করা।

বিএনপি সুশাসন কীভাবে দিবে সে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সময়ে খাদ্য ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা হলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী জবাব দিয়েছিলেন তাতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তি সহজ হয় আর আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিবাদ করে বলেছিলেন- ভিক্ষুকের জাতি হওয়ার জন্য ৩০ লাখ লোক শহাদাৎ বরণ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেনি। বর্তমানে তারা সরকারের সাফল্য দেখেও না দেখার ভান করে উল্টো সমালোচনা করে যাচ্ছে। তবে জনগণ তাদের বিরোধিতা আমলে নিচ্ছে না। বিগত ১৫ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সফলতাও দেখে না তারা। এজন্য এদেশের জনগণ তাদের রাজনীতিকে বর্জন করেছে।

লক্ষণপুরে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো.তাজুল ইসলাম বলেন, এদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। তাই কারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে- সেই সিদ্ধান্তও দেশের জণগণ ভোটের মাধ্যমে নেবে। এখন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বানচাল করতে অনেকে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাই না। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। যত চাপই আসুক আমাদের নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী এবং সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

নিজের নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে কাউকে লুটপাট, সন্ত্রাস ও কোনোপ্রকার অত্যাচার করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, আমি ৯৬ সালে এমপি হওয়ার আগে মনোহরগঞ্জে এক কিলোমিটারও পাকা সড়ক ছিল না। এখন আর কোন রাস্তা পাকা ছাড়া নেই। উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অবকাঠামোখাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি- যার সুফল স্থানীয় জনগণ পাচ্ছেন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো.কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো.শাহাদাত হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ ।