Home রাজনীতি নির্বাচনে জিততে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে: জি এম কাদের

নির্বাচনে জিততে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে: জি এম কাদের

21

বরিশাল অফিস : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে না। অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত দিতে পারছে না সরকার। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বিদ্যুত কেন্দ্র বানানো হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিত্যুত উৎপাদন করুক বা না করুক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোকে পয়সা দিতে হচ্ছে। এভাবে আমাদের রিজার্ভ শুন্যের কোটায় নেয়া হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে আমদানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য কাঁচামালের অভাবে কাল-কারখানা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। ডলারের দাম বাড়ার কারণে বিদেশ থেকে পণ্য অধিক দামে আমদানী করতে হয়। সরকার এসব ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। কিছুদিন আগে আইএমএফ এর প্রতিনিধি দল বলেছে বাংলাদেশে ভয়াবহ ভাবে মুদ্রস্ফিতি হবে। রফতানী আয় কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। মানুষের সামনে ভয়াবহ দুর্দিন। সরকার দেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না। ট্রাকে কিছু খাদ্যপণ্য পাঠিয়ে দেয়, খুব কম সংখ্যক মানুষ এই পণ্য পায়। কিন্তু বিশাল লাইনের মানুষ সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাকের পণ্য পায় না।

আজ দুপুরে বরিশালের রহমতপুরে এক পথসভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নাটক চলছে। সরকারি দল ক্ষমতার জন্য নির্বাচন করতে চায়। সবাই জানে বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় সরকার সমর্থক প্রার্থী বিজয়ী হবে। নির্বাচন কমিশন যতই চেষ্টা করুক, নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তরা সরকারের পক্ষ হয়েই কাজ করছে। তারা জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে না। নির্বাচনে জিততে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এখন তারা বলছে সংবিধান হচ্ছে পবিত্র, এর বাইরে যাওয়া যাবে না। সংবিধানের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করতে হবে। উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের পছন্দ মাফিক ফলাফল ঘোষণা করতে চায়। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে সারা দেশের মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই তখন ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচারই বর্তমান রাজনীতি। যারা সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচন করতে চান আর যারা সংবিধানের বাইরে থেকে নির্বাচন করতে চান তাদের সবার উদ্দেশ্যই এক।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ৯০ সালের আগে নির্বাচনের জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ লেভেল প্লেইং ফিল্ড এর জন্য নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপি ৮৬ ও ৮৮ সাল নির্বাচন বর্জন করেছিলো। তাদের তখন সংবিধানের কথা মনে ছিলো না। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে যে সরকার গঠিত হয়েছিলো তা সংবিধান সম্মত ছিলো না। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা রেখেছিলো, তারা সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষা করতে পারেনি। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চেয়েছিলো। তখন ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিলো। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের কুক্ষিগত করতে দেবো না। তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আজীবন তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু করতে আমরা তখন তাদের সাথে ছিলাম। নির্বাচন নিয়ে নাটক বন্ধ হয়নি। এখন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে বিএনপি সংগ্রাম করছে। এই বিএনপিই নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছিলো। ২০০৭ সালে ২০ জানুয়ারি বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগ অংশ নেয়নি। কারণ, সেই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতো না। এরপর ওয়ান ইলেভেনের পর আবারো সেই নাটক হলো ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। সেই থেকে বিএনপি চায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংশোধন। এখন আবার আওয়ামী লীগ সংবিধান ছাড়া কিছু বোঝে না। ভক্তিতে যেন সকাল-বিকাল সংবিধান ধুয়ে পানি খায়। নাটক চলছে, জনগণের মুক্তির জন্য কোন দৃষ্টি নেই। এই নাটক থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে আর তারা ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি করছে। তারা ক্ষমতায় থেকে যা করেন তারপর আর জনগণের কাছে ভোট চাইতে সাহস পাননা। তাই নির্বাচনের সময় দলীয় কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেন। আমরা আইনের শাসন নিশ্চিত করতে চাই। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে রাজি নন। নির্বাচন ব্যবস্থা এমন করেছে, যাতে সরকার সমর্থকরাই জয়ী হতে পারে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ইভিএম ভালো কিন্তু ব্যবহারের উদ্দেশ্য খারাপ। জনগণ বলে, ইভিএমে ভোট দিয়েছি এক দিকে আর ফলাফল ঘোষণা হয় অন্য দিকে। কোন স্বাক্ষী প্রমাণ থাকে না। ব্যালটে ভোট হলে, মারামারি হতে পারে। কিন্তু একটা প্রমাণ থাকে। জনগণের ধারনা ইভিএম-এ নির্বাচন হলে সরকার যাকে চাইবে সেই জিতবে। জনগণ সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। নির্বাচন নিয়ে দুটি দলের সংঘাতে জনগণ বিপর্যস্ত হতে পারে। রাজনৈতিক সংকট দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরো ঘনিভূত করবে। সরকার এখন আর জনগণের কথা ভাবছে না, তাদের দৃষ্টি শুধু নির্বাচন ম্যানেজ করার দিকে। অপর দলটি যেকোন মূল্যে ক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক সময় তত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে আরেক সময় তত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে অস্থান নিয়েছে। দুটি দলই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড চালিয়েছে। একমাত্র জাতীয় পার্টি সরকার সুশাসন দিতে পেরেছে। জাতীয় পার্টির সময়ে সবার জন্য আইন সমান ছিলো। তখন টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দলীয়করণ ছিলো না। এখন সরকারি দল খুন জখম করলেও আইনের আওতায় আনা হয় না। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে যারা থাকবে মামলা হবে শুধু তাদের নামে। কিন্তু তারা আবার ক্ষমতায় গেলে সব মামলা শেষ। এমন অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে হেয় করতে নানাভাবে অপপ্রচার করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। অথচ, দেশের সব ভালো কাজের সাথে এরশাদ জড়িত। নৌপথেই ছিলো বরিশালের একমাত্র যোগাযোগ। এরশাদ সাহেব দেশের সড়ক ব্যবস্থা উন্নত করেছিলেন। এখন বাস চলাচল করছে, আগামীতে ট্রেন চলাচল করবে। যমুনা ব্রীজ করার সময়ে পদ্মাসেতু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর জন্য সংযোগ সড়ক থেকে সকল অবকাঠামো করেছেন। আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার হচ্ছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, সংবিধানের মূল হচ্ছে গণতন্ত্র। দেশে গণতন্ত্র নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কথা মত দেশ চালাবে এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। এ দেশে তো রাজতন্ত্র নয়, যে রাজার কথায় দেশ চলবে। এই দেশ জনগণের কথায় চলতে হবে। যদি জনগণ মনে করে তার ইচ্ছেমত দেশ চলছে না তাহলে তারা সরকার পরিবর্তন করতে পারবে। দেশে সেই পরিবেশ নেই, কেউ কষ্টে থাকলে বলতে পারে না। গণমাধ্যম প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে পারে না। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না। স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সংবিধানে প্রথম কথা হচ্ছে গণতন্ত্র। যেখানে জনগণের শাসন চলবে। অথচ সংবিধানের চারটি মূল নীতির প্রথম হচ্ছে গণতন্ত্র। দ্বিতীয়টি হচ্ছে সমাজতন্ত্র। আমরা ঘোষণা দিয়ে সমাজতন্ত্র বাদ দিয়েছি। জাতীয়তাবাদ নিয়েও আওয়মী লীগ ও বিএনপি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। শুধু বজায় আছে ধর্ম নিরপেক্ষতা। কারণ এদেশের মানুষের রক্তের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষাতা আছে হাজার বছর ধরে। ৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে। তারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর দখল করে। কিন্তু দোষ দেয়ার সময় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম তোলেন। কারণ, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন। হিন্দুদের কিছু সংখ্যক নেতাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে পল্লীবন্ধুর নামে অপপ্রচার করা হয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামে সকল ধর্মের সব অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম খারাপ হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এটি পরিবর্তন করেনি কেন?

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসময় আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস’কে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল নির্বাচনে অংশ নেবো। আমরা দেখতে চাই এবং দেশের সাধারণ মানুষকে দেখাতে চাই। দেশের মানুষ যেনো দেখতে পায় নির্বাচনের নামে সরকার কী করে। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস’কে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।

এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, জোরজবরদস্তি করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার রেকর্ড আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আছে। জাতীয় পার্টি সব সময় গণমানুষের ভোটাধিকারের পক্ষে। তিনি বলেন, আমরা এবার দেখবো কোন কোন কর্মকর্তা বিশেষ দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে গোপনে কাজ করে। নির্বাচনে জয়ী হতে জাতীয় পার্টিকে কখনোই আচরণ বিধি লংঘন করতে হবে না। সুষ্ঠু ভোট হলে বরিশাল সিটিতে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ইকবাল হোসেন তাপস জয়ী হবেন। কারন, গেলো ৩২ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লুটপাটের কারণে দেশের মানুষ বিরক্ত। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাষ্ট ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে পল্লীবন্ধুর জাতীয় পার্টি ততদিন থাকবে। দেশের মানুষ এখনো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পল্লীবন্ধুর কথা রেখেছেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টির বিজয় ঠেকাতে পারবে না। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পল্লীবন্ধুর লাঙ্গল নিয়ে গণমানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গণসংযোগ করে জনপ্রীয়তা অর্জন করেছে। বরিশাল সিটিতে লাঙ্গলই জয়ী হবে। তিনি ইকবাল গোসেন তাপসে পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচন দিয়েই জাতীয় পার্টির নির্বাচনী যাত্রা শুরু হলো।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি’র সভাপতিত্বে এই পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ মোহসিন উল ইসলাম হাবুল সভাটি সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, মেজর (অবঃ) রানা মোঃ সোহেল এমপি, মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, মুলাদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুন অর রশীদ, বাবুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা বশীরুল্লা আজাহারী।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রতনা আমিন হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, গোলাম মর্তুজা, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী, পারভেজ রহমান, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট মোঃ আবু তৈয়ব, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, জি এম শহিদ, নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, এড. বশির আহমেদ সবুজ, এড. মাসুদুর রহমান আল মামুন, অধ্যাপক বিপ্লব মিত্র, সার্জেন্ট (অবঃ) ফজলুল হক, বশির আহমেদ লিটন, ডালিম সিকদার সহ বরিশাল জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।