Home জাতীয় নিবন্ধনের দৌড়ে রইলো শতাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা

নিবন্ধনের দৌড়ে রইলো শতাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা

29

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করে দেশের ১৯৯টি বেসরকারি সংস্থা। প্রাথমিক বাছাইয়ে থাকা এই সব সংস্থাগুলোর তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। এবং এ সব সংস্থার বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ থাকলে এর পক্ষে-বিপক্ষে সাত কার্যদিবসের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করবে কমিশন। সোমবার ( ৮ মে) আামাদের নতুন সময়কে এই তথ্য নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাক্ষাৎ করে ইতোমধ্যেই জাতীয় এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা এ সব সংস্থার মাঠ পর্যায়সহ সব কিছুই এখন খুটি-নাটি খতিয়ে দেখবে কমিশন। এ সব সংস্থার তালিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে কোন- দাবি আপত্তি নিবে কি না তার সিদ্ধান্ত নিবেন কমিশন।
ইসির গণসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আসাদুল হক বলছেন, প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দাবি বা আপত্তি জানানোর জন্য এই সব সংস্থার তালিকা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। এতে করে যে কোন সংস্থার বিরুদ্ধে ১০ কার্যদিবসরে মধ্যে যে কেউ যুক্তিসংগতভাবে আপত্তি করতে পারবে। দাবি বা আপত্তির বিরুদ্ধে দু পক্ষেরই শুনানি নিবে কমিশন। আর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলোর তালিকা চূড়ান্ত হবে জুলাইয়ের মধ্যে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, এই নিবন্ধনের মেয়াদ হবে আগামী পাঁচ বছর।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি যে কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, সেখানে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে স্থানীয় পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে ইসিতে মোট ১১৮টি সংস্থা নিবন্ধিত আছে। আগামী ১১ জুলাই এসব সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হবে।

ইসি সূত্র জানায়, পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে যেসব সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, সেগুলো বেশির ভাগই বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও। এদের মধ্যে সির্বাচন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। নিবন্ধন দিতে যে বিষয়গুলো কমিশন বিবেচনায় নিবে , সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থাকে দেশের আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে। সংস্থাকে অবশ্যই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হতে হবে। নিবন্ধিত রজানৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন বা ছিলেন বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক, এমন কোনো ব্যক্তি কোনো সংস্থার প্রধান নির্বাহী বা পরিচালনা পর্ষদে বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য থাকলে ওই সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে ( আরপিও) সংযোজন করা হয়। সেবার প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।
আমাদের সময়.কম