Home রাজনীতি নিজেদের শাসনামলে ভারত সফরের প্রাপ্তি কি ছিল তা দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি...

নিজেদের শাসনামলে ভারত সফরের প্রাপ্তি কি ছিল তা দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান: কাদের

45

স্টাফ রিপোটার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার আর গুজব না ছড়িয়ে বরং আয়নায় নিজেদের শাসনামলে ভারত সফরের প্রাপ্তি কি ছিল তা দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার তার বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান ।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোন অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।
প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা দু’দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।
বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপাক্ষিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশ কি পেয়েছে, সে সম্পর্কে বলেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।
বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সাথে। বন্ধুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম।
আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি।