Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তাকারী ঢাবি শিক্ষকের অপসারণ দাবি

নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তাকারী ঢাবি শিক্ষকের অপসারণ দাবি

41

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে গত ২৬ জুলাই, ২০২২ তারিখে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান। এসময় একজন নারী শিক্ষার্থী স্লিভলেস ব্লাউজ পরিধান করায় তার উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য এবং তাদের হেনস্তা করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা কার্জন হলে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান শিক্ষার্থীদের নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তিনি তার এক নারী সহকর্মীকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেন।

একইদিকে, গত ২৬ জুলাই, ২০২২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হতে জালিয়াতিতে সহযোগিতার দায়ে চাকুরিচ্যুত কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালে কারচুপির ডাকসু নির্বাচনে ভোট শুরুর পূর্বে কুয়েত মৈত্রী হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা। ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার দায়ে কুয়েত মৈত্রী হলের তৎকালীন প্রভোস্ট শবনম জাহানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা এবং জালিয়াত শবনম জাহানকে স্বপদে চাকুরিতে বহালের প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। নানান মতের ও পথের মানুষ এখানে আসেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসেন। কলেজ পড়ুয়া দুজন শিক্ষার্থীও সেখানে ছবি তুলতে এসেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র পোশাকের কারণে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানের এত অধঃপতন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেশের জনগণকে এই ক্রান্তিলগ্নে পথ দেখানো। সেখানে তারা চাটুকারিতা, সরকারি দলের তাবেদারিতে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, তাদের ভেতর যে ভয়াবহ পুরুষতান্ত্রিকতা বিরাজমান তাও আমরা দেখলাম। আমরা অবিলম্বে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসানকে অপসারণের দাবি জানাই। একইসাথে জালিয়াতি দায়ে চাকুরিচ্যুত কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে পুনরায় স্বপদে বহালের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। একজন জালিয়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাকে স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত জালিয়াতিকে উৎসাহিত করবে। আমরা অবিলম্বে শবনম জাহানকে স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করে এবং অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসানকে অপসারণ না করে তবে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে।”