Home জাতীয় নারী ও শিশু ধর্ষণ—সহিংসতা বন্ধ কর

নারী ও শিশু ধর্ষণ—সহিংসতা বন্ধ কর

40

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত—এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক তৌফিকা লিজা ও ঢাকা নগরের সদস্য সুস্মিতা রায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ১৪ বছরের গৃহকমীর্ ইয়াসমিন হত্যাকে কেন্দ্র করে যে বিশাল গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিলো সেই গণআন্দোলনই জন্ম দিয়েছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। ইয়াসমিনের বাড়ি দিনাজপুরে। ঢাকা থেকে সে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাবতলী থেকে বাসে ওঠে। ভোর রাতে দিনাজপুরের ১০ মাইল এলাকায় বাস থেকে নেমে সে বাড়ি যাবার জন্য আর একটি বাসের অপেক্ষা করছিলো। টহলরত পুলিশ তাকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভ্যানে তুলে নেয় এবং ইয়াসমিনকে গণধর্ষণ ও হত্যা করে রাস্তার পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পুলিশ ভেবেছিলো তাদের এই অপকীর্তি কেউ বুঝতে পারবে না। ভোরের আলো ফুটতেই একটা লাশ দেখতে পেল স্থানীয় জনগণ। দশ মাইলের দোকানদার ও কাস্টমার যারা দেখেছে ইয়াসমিনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়েছে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে, তারা সনাক্ত করলো এই লাশ ইয়াসমিনের। পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করেছে নিজেকে রক্ষা করতে। ইয়াসমিনকে তারা পতিতা বলে পরিচিত করাতে চেয়েছিলো। হুমকি, মিছিলে গুলি, মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট ইত্যাদি নানা কারসাজি করেও তারা বাঁচতে পারেনি। সেদিন দিনাজপুরসহ সারা বাংলাদেশে এর বিরুদ্ধে বিপুল গণআন্দোলন পুলিশের সকল অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে প্রমাণ করলো পুলিশ ভ্যানে থাকা ৩ পুলিশ কর্মকর্তা—কনস্টেবল—চালক তারাই ইয়াসমিনের গণধর্ষণ ও খুনের জন্য দায়ী। ৭ জন ভাইয়ের প্রাণের বিনিময়ে ৩ জন পুলিশের ফৌজদারী মামলায় বিচার হয় এবং ফাঁসীর রায় কার্যকর হয়।”