ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই একই এলাকায় অবস্থান করেছ। এটি গত মধ্য রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৩০ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৯৫ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।আজ ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূণীঝড় ‘মোখো’ -এর অগ্রভাগে প্রভাব শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণীঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টটায় ১৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝেড়া হাওয়ার আকারে ১৭০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে আট নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী,নোয়াখালী,লক্ষীপুর, চাদপুর, ভোলা ও তাদের অদূরবর্তী বদ্বীপ চরসমূহ আট নম্বর মহা বিপদ সংকেতের আওয়ায় থাকবে ।
ঘূর্ণঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যরে আধিক্যের প্রভাবে উপলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ চরসমূহের নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী,নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরদর্তী দ্বীপ ও চরসমূেহর নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোস্বাচ্ছে প্রলাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গবসাগর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে।