Home সারাদেশ ধর্মপাশায় শশুরের কোদালের কুপে গুরুতর জখম পুত্রবধূ, হাসপাতালে ভর্তি

ধর্মপাশায় শশুরের কোদালের কুপে গুরুতর জখম পুত্রবধূ, হাসপাতালে ভর্তি

47

রাজু ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বাদশাগঞ্জ বাজার ডিগ্রী কলেজের পিছনে পারিবারিক কলহের জেরে শশুর উস্তর আলীর কোদালের কুপে পুত্রবধূ গুরুতর আহত হয়েছে । গত বুধবার ( ১ নভেম্বর ২০২৩) সকাল আটটায় উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজার ডিগ্রী কলেজের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আসমা আক্তার অবস্থা গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আসমা আক্তারের পরিবার।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন উস্তর আলী(৬০)ও দুস্তর আলী (৫০) সহ ৩/৪ জন মিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসমা আক্তারের বাড়ির উঠানে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আসমা আক্তার পরিবারের লোকজন এসবের প্রতিবাদ করলে উস্তর আলীর লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আসমা আক্তার (৩৫) গুরুতরভাবে জখম হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বুধবার আহত আসমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আসমা আক্তার বলেন, উস্তর আলী আমার শ্বশুর ( ৬০), দুস্তর আলী আমার চাচা শ্বশুর, আমার স্বামী নুর মিয়া, আমরা খুবই গরীব, আমার স্বামী সিলেট শহরে কাজ কাম করে, মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসে। আমি ছেলে মেয়ে সহ আমার স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করি, আমার শ্বশুর অত্যন্ত উগ্র, দাঙ্গাবাজ, উশৃংখল ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বহু পূর্ব হতে আমার শশুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে মারপিট করতো। আমি শত মারপিটের ফলেও সন্তান গুলির মুখ পানে চেয়ে স্বামীর সংসার করার চেষ্টা করি। ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমি আমার বসত ঘরে দাঁড়িয়ে মাটির কাজ করার সময় আমার শশুর উস্তর আলী আমাকে বাধা নিষেধ সহ অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করতে থাকে, আমি প্রতিবাদ করিলে বিবাদীর সঙ্গে আমার তর্ক বিতর্ক শুরু হলেনএক পর্যায়ে আমার শশুর উস্তর আলী ডাকা ডাকি করিয়া দা লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রপাতি নিয়ে আমাকে আক্রমণ করে, আসামি দুস্তর আলীর হুকুমে উস্তর আলী তার হাতে থাকা দা দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য মাথার পিছনে কুপ মেরে রক্তাক্ত যখম করে, সঙ্গে সঙ্গে উস্তর আলী আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ডান চোখের উপরে আরো একটি কুপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আসামি দুস্তর আলী আমার সর্ব শরীরে এলো পাতারি আঘাত করে জখম করে।
থাকে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করলেও এর কোনো সুরাহা মেলে নাই। এরই জের ধরে গত বুধবার সকাল ৮ ঘটিকার পরিবারের লোকজনের মাঝে বাক বিতর্ক হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পরিবারের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।

ধর্মপাশা থানার কর্তব্যরত এস আই মনির ইসলাম বলেন, অভিযোগটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।