Home রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত জাপায় রওশনপন্থিদের চাপে জিএম কাদেরপন্থিরা

দ্বিধাবিভক্ত জাপায় রওশনপন্থিদের চাপে জিএম কাদেরপন্থিরা

39

নজরুল ইসলাম: কাউন্সিলে চোখ রওশনপন্থিদের, চাপে জিএম কাদেরপন্থিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে সব সময় আলোচনায় থাকে জাতীয় পার্টি (জাপা)। কখনো জোট গঠন, কখনো অন্তর্কোন্দলে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন শীর্ষ নেতারা। এবারও নির্বাচন সামনে রেখে জোট নিয়ে জাপা থেকে এরই মধ্যে এসেছে নানামুখী বক্তব্য। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করেও রটেছে ভিন্ন সমীকরণ। এসবের মধ্যেই জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিয়েছেন কাউন্সিলের ঘোষণা। রওশন সংশ্লিষ্টতায় এর পরপরই মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ দলের বেশ কয়েকজনকে দল থেকে অব্যাহতি কিংবা কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

প্রায় বছরখানেক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রহর গুনছেন রওশন এরশাদ। শোনা যাচ্ছে অক্টোবরেই তিনি দেশে ফিরবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিলের প্রস্তুতিও চলছে বেশ জোরেশোরে। সিলেট, গাজীপুরসহ ১২ জেলায় কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিও হয়েছে। কাউন্সিল সফল করতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন রওশনপন্থি নেতারা। যদিও দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রওশনের ডাকে সাড়া দেননি।

রওশনপন্থিরা বলছেন, জাপা থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন দলের এমন নেতারা যোগাযোগ না করলেও তৃণমূল থেকে আসছে ব্যাপক সাড়া। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবর মাসেই রওশন এরশাদ দেশে আসবেন। তখন কাউন্সিল করার যাবতীয় কাজ আরও জোরেশোরে হবে। যে কোনো মূল্যে কাউন্সিল সফল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন রওশন।

এদিকে কাউন্সিলের তোড়জোড়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। কাউন্সিল ও রওশন এরশাদকে নিয়ে যারা মুখ খুলছেন তাদের বহিষ্কার কিংবা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে দলের একাধিক সূত্র।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদ ইস্যুতে পক্ষ নেওয়ায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মসিউর রহমান রাঙ্গাকে। এর তিনদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাকে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জিএম কাদেরের উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম ওরফে হাবুলকে দল থেকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়।