Home জাতীয় দ্বিজাতি তত্ত্বের শকুন জামাত-বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিন

দ্বিজাতি তত্ত্বের শকুন জামাত-বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিন

62

লালন দিবসের আলোচনায় জিয়াউল হক মুক্তা

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ১৫ অক্টোবর শনিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর জাতীয়ভাবে লালন দিবস ঘোষণা ও পালনের দাবিতে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

জেলা জাসদ কার্যালয়ে সকাল ১০ টায় সূচিত একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি সিরাজগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করে বাজার স্টেশন চত্বরে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ রউফ পাতা পৌর-মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও লালন সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ভুঁইয়া।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা।

জিয়াউল হক মুক্তা তার বক্তব্যে বলেন যে বাঙালি জাতির জাতীয়তাবোধ, জীবনবোধ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্মাণের প্রধান দার্শনিক লালন। দশম শতক থেকে সূচিত বাঙালির প্রগতিশীল চিন্তাজগতে লালন মানবতাবাদ ও সাম্যবাদের শক্তিশালী দার্শনিক ভিত্তি প্রদান করেন অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকে। তিনি বলেন বাংলাদেশে আজ যখন দ্বিজাতি তত্ত্বের শকুন জামাত-বিএনপি-হেফাজত খামচে ধরেছে জাতির পতাকা, ক্ষমতা দখল করে জনজীবনে চাপিয়ে দিতে চাইছে ভেদ-বিভেদের দেয়াল, তখন লালনের শিক্ষা আমাদের আবারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথ দেখায়, সংগ্রামের প্রেরণা যোগায়। তিনি দ্বিজাতি তত্ত্বের শকুন জামাত-বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বক্তব্য প্রদান করেন জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর শাহীন, সিরাজগঞ্জ জেলা লালন সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, মুক্তিধাম আখড়াবাড়ির প্রধান সেবক আনান বাউল, পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান বিপ্লব প্রমুখ।

বক্তাগণ ১৭ অক্টোবর দেশব্যাপী লালন দিবস পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তারা ১৭ অক্টোবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে লালন দিবস হিসেবে ঘোষণা ও পালনের আহ্বান জানান। বক্তাগণ দেশের সকল উপজেলায় বাউলদের জন্য আখড়া নির্মাণের দাবি জানান। তারা বলেন সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদি অপশক্তি ও আওয়ামী-বিএনপি-জামাতচক্র বাউলদের উপর যাতে দেশের কোনো অঞ্চলে আর কোনোদিন হামলা পরিচালনা করতে না পারে সরকার-প্রশাসনকে তার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আলোচনা শেষে লালন সংগীত পরিবেশন করেন আনান বাউল, পরশ তালুকদার, মেরাজ লালন, মাহফেজ ফকির, নজরুল ফকির, মিলন ফকির, হৃদয়, শুভঙ্কর শুভ ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার লালন ভক্তবৃন্দ।