Home জাতীয় দেশে হচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার কারখানা

দেশে হচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার কারখানা

46

ডেস্ক রিপোর্ট: সব শ্রেণির গ্যাস গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার অংশ হিসেবে দেশে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার সংযোজন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। মিটার আমদানি খরচ কমানোর লক্ষ্যে জাপানের দুইটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ নতুন গ্যাস মিটার সংযোজন (অ্যাসেম্বলিং) কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে দেশের প্রথম গ্যাস মিটার সংযোজন কারখানা।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি সূত্র জানায়, প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানাটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণ করা হবে। যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটিতে তিতাসের এবং জাপানের দুইটি কোম্পানির সমান মালিকানা থাকবে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, সামনের দিনে তিতাসের বিপুল পরিমাণ মিটারের প্রয়োজন হবে। মিটার আমদানির চেয়ে দেশে তৈরি বা সংযোজন অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। কারখানাটি স্থাপিত হলে মিটার উত্পাদন খরচ কমার পাশাপাশি দেশীয় কারিগরি সক্ষমতাও বাড়বে।

গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা-কর্মসূচি এর আগে দেখা যায়নি।

ভোক্তা অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পোস্ট পেইডের চেয়ে প্রিপেইড গ্যাসে খরচ কম। প্রিপেইড গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুই গুণের বেশি অর্থ সাশ্রয় করে। গ্রাহক চাহিদা থাকার পরও গত সাত বছরে গৃহস্থালি গ্রাহকদের মধ্যে মাত্র সোয়া ৩ লাখ গ্রাহককে পোস্ট পেইড বদলে প্রিপেইড মিটার সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তিতাস গ্যাস।

গ্রাহকদের অভিযোগ, কম গ্যাস সরবরাহ করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য তিতাস ইচ্ছাকৃতভাবে পিপেইড মিটার পরিষেবা সম্প্রসারণে ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে তিতাসের কর্মকর্তারা বলছেন, পোস্ট পেইড বা বার্নার হিসেবে গ্রাহকরা যখন গ্যাস ব্যবহার করেন তখন অনেক অপচয় করেন। কিন্তু প্রিপেইড হলে তারা সাশ্রয়ী আচরণ করেন।-ইত্তেফাক