ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে শিল্পখাতের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান প্রায় ৩৭.০৭ শতাংশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনকল্পে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু দেশীয় কাঁচামাল-নির্ভর শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে বাংলাদেশের শিল্পায়নের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সরকারের গৃহীত শিল্পনীতি ও কর্মসূচির ফলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শিল্পখাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। শিল্প কারখানায় অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে দেশে এখন বিশ্বমানের শিল্পপণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবদান সুসংহত হচ্ছে।
শিল্পখাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে বেসরকারি খাতের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান শিল্পায়নে উদ্যোক্তাদের আরো বেশি উৎসাহ যোগাবে। আমি সম্মাননাপ্রাপ্ত সকল শিল্পোদ্যোক্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা ও কার্যকর অবদানের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা এ দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করতে পারবো- ইনশাল্লাহ।
আমি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করি ।
জয় বাংলা।
খোদাহাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”