ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার লালমোহনের মিরাজ হোসেন (২৮) নামের এক যুবক গত দুই মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা কিনেন। গত তিন বছর ভাড়ায় রিকসা চালিয়ে ছিলেন মিরাজ। এখন উপার্জনের একমাত্র সম্বল হাড়িয়ে বাকরুদ্ধ মিরাজ।
গত বুধবার রাতে যাত্রী সেজে লালমোহনের চৌরাস্তার মোড় থেকে দেবিরচর বাজারে যাওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি রিকশাতে ওঠেন। এরপর পথিমধ্যে পিছন থেকে চালক মিরাজের চোখে মলম লাগিয়ে রিকশাটি নিয়ে যায় তারা। তিন বছর ধরে ভাড়ায় রিকশা চালাচ্ছেন
এসময় মিরাজের কাছে থাকা দুইশত টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায় ওই মলম পার্টির সদস্যরা। ঘটনার পরে রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রিকশা চালক মিরাজ। তিনি উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে।
দেখা যায়, রিকশা ফিরে পাওয়ার আশায় বাকরুদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে থানা প্রাঙ্গনে বসে রয়েছেন মিরাজ নামের ওই রিকশা চালক। যেন তার সর্বস্ব হারিয়েছে। কোনো কথাই বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে। অনেক চেষ্টার পর কথা বলেন মিরাজ। তিনি বলেন, পরিবারে বাবা-মাসহ আমরা ৫ সদস্য রয়েছি। বড় ভাই বিয়ে করে এখন আর আমাদের খোঁজ নেন না। আমার সেই ১৭ বছর বয়স থেকে রিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরি। অনেক বছর ভাড়ায় চালালেও গত দুই মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনি। সেই রিকশা নিয়ে গেছে মলম পার্টি। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কি করে চলবো আর ঋণের টাকাই বা কিভাবে শোধ করবো, কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। রিকশা ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করেছি। যার জন্য এখন থানায় এসে বসে আছি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, রিকশা চালক মিরাজ এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।