Home জাতীয় দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন

দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন

40

স্টাফ রিপোটার : দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২২ তম রাস্ট্রপতি হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নামে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
মনোয়ন পত্র দাখিল শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে এদিন পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে যান আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
মনোনয়নে পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ স্বাক্ষর করেন।
এ সময়ে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান ও আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর মিনিট দশেক পরেই সেখানে আসেন মো. সাহাবুদ্দিন। পরে তাকে সঙ্গে নিয়েভেতরে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন প্রদান করেছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল গত ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে সংসদীয় দলের নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে। তিনি এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।

মোঃ সাহাবুদ্দিন পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতিপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড, রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।