Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস দুদকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগের গুঞ্জন

দুদকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগের গুঞ্জন

54

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: দুদকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়াকার্স দপ্তরের পরিচালক পদে নিয়োগের গুঞ্জন উঠেছে।

সাজাপ্রাপ্ত জনাব মো. ইউনুস শরীফ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

দুদকের এক প্রতিবেদনে দেখা, পবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মো. ইউনুস শরীফ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পবিপ্রবির টিএসসি ভবনের সম্প্রসারণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে ৯টি দরপত্র জমা পরে। এসব দরপত্রের মধ্যে মেসার্স অনিক ট্রেডিং করপোরেশন তিন কোটি দুই হাজার ৪৯৫ টাকার দরপত্র দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হন। কিন্ত তিনি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশনকে বাদ দিয়ে মেসার্স স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদারের সঙ্গে যোগসাজশে তাকে সর্বনিম্ন ঠিকাদার হিসাবে মূল্যায়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তাকে কার্যাদেশ প্রদান করেন। তবে মেসার্স স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ টাকা দর দিয়ে দরপত্র দাখিল করেন বলে জানা যায়। এতে পবিপ্রবির ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৭ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টেন্ডার জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রকৌশলী জনাব মো. ইউনুস শরীফকে আটক করা হয় এবং দুদক এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেলে একটি মামলা দায়ের করে। এসময় তদন্ত চলাকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিসাধন হওয়া ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাও দেন। আত্মসাৎ করা টাকা স্বেচ্ছায় ফেরত দেওয়ায় তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ দুদক মেসার্স স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেডে নামে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

এদিকে, ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বশেমুরবিপ্রবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকৌশলী মো. ইউনুস শরীফসহ মোট তিনজন প্রার্থী ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে দুদকের মামালার আসামি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা বোর্ড থেকে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে শোরগোল শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী মো. ইউনুস শরীফ জানান, আইনগত দিক থেকে আমি ঠিক আছি। যদি ঠিক না থাকতাম তাহলে আমি বর্তমানে কিভাবে চাকুরী করতাম। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগ পেতে যাচ্ছি এ রকম কিছুই না। আমি ওখানে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর প্রায় ৩ মাস হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আর কোন খোঁজও নেই নাই।নিয়োগের বিষয়ে কতৃপক্ষ বুঝবে তাদের কাছে প্রশ্ন করতে পারেন। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন প্রশ্ন জানতে চাওয়ার বিষয় আছে বলে মনে করি না।

বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান জানান, আমি তো নিয়োগ বোর্ডের সদস্য না। কাজেই এ বিষয়ে আমার বলার সুযোগও নেই। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে এ নিয়োগ সংক্রান্ত কোন প্রকারের অফিস আদেশ আসে নাই।