Home জাতীয় দুই সিটিতে বসবে ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট

দুই সিটিতে বসবে ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট

22

ডেস্ক রিপোর্ট: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৮টি আর ৮টি বসবে উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি)। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে তালিকা থেকে যেকোন হাট বাতিল ও নতুন হাট সংযোজন করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে পূর্বাচলে পশুর হাটটি বসতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি উত্তর সিটিতে পশুর ডিজিটাল হাটও চালু থাকবে।

এদিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাটে ব্যবসায়ীদের কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তাদের থাকার হোটেলগুলোতেও দেওয়া হবে নিরাপত্তা। পশুর হাট ঘিরে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি।
তালিকাভুক্ত ১৬টি হাট ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি ইজারা চূড়ান্ত হতে পারে। ইজারার মেয়াদকাল ঈদ-উল-আজহার ঘোষিত ঈদের দিনসহ পাঁচদিন। এছাড়াও দক্ষিণ সিটির সারুলিয়া ও উত্তর সিটির গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হবে।
গত ২ মে ৮টি পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করে উত্তর সিটি করপোরেশন। এই দরপত্র অনুযায়ী ডিএনসিসিতে অস্থায়ী পশুর হাট বসছে ভাটারা (সাঈদ নগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন বউ বাজার এলাকা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগর ব্লক বি থেকে এইচ পর্যন্ত খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা, মোহাম্মদপুরের বছিলা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাচকুড়া ব্যাপারীপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকায়।

গত ২৭ এপ্রিল ৭টি পশুর হাট ইজারায় দরপত্র আহ্বান করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দরপত্র অনুসারে অস্থায়ী পশুর হাট বসছে ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও আমুলিয়া মডেল টাউন সংলগ্ন খালি জায়গায়।

দুই সিটির রাজস্ব বিভাগ জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত হতে পারে ইজারা। এর মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা আয়ের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং উত্তর সিটি প্রায় ৭ কোটি টাকা আয় করবে।

উত্তর সিটির অস্থায়ী হাটের দরপত্র অনুযায়ী, ১ কোটি ১৩ লাখ টাকায় ভাটারা (সাঈদ নগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন বউ বাজার এলাকা, ১ কোটি ৫১ লাখ টাকায় বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগর ব্লক বি থেকে এইচ পর্যন্ত খালি জায়গা, ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় মিরপুর সেকশন-৬-এর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা, ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মোহাম্মদপুরের বছিলা, ৬০ লাখ টাকায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, ২৪ লাখ টাকায় কাওলা শিয়ালডাঙ্কা সংলগ্ন খালি জায়গা ও ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকায় কাঁচকুড়া বেপারীপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

দক্ষিণ সিটির দরপত্র অনুযায়ী, ২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় পোস্তগোলা শশ্মানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকায় মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, ৩৯ লাখ ৩২ হাজার টাকায় লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও আমুলিয়া মডেল টাউন সংলগ্ন খালি জায়গা ২৯ লাখ টাকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটির হাটগুলোতে ১৫ মে প্রথম পর্যায়ের দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। পরদিন ১৬ মে সকালে দরপত্র দাখিলের পর বিকেলে তা খোলা হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ সিটির হাটগুলো ইজারায় আগামী ২২ মে পর্যন্ত শিডিউল বিক্রি করা হবে। পরদিন ২৩ মে শিডিউল জমা এবং খোলা হবে।
আমাদের সময়.কম