Home রাজনীতি দাবি মেনে নিন, অন্যথায় পালানোর পথ খোঁজে পাবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল

দাবি মেনে নিন, অন্যথায় পালানোর পথ খোঁজে পাবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল

21

স্টাফ রিপোটার: সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনও সময় আছে, আমাদের ১০ দফা মেনে নিন, পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন হবে। সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণ তাদের পছন্দ মত সংসদ গঠন করবে। এটা মেনে নিন। অন্যথায় পালানোর পথ খোঁজে পাবেন না। এ কথা বললে বলে- কোথায় পালাবো? অতীতে পালিয়েছেনতো। সব পালিয়েছেন কেউ পাকিস্তানে কেউ হিন্দুস্তানে। পালাননি? এবার কিম্ত সেই পথ খোঁজ পাবেন না…

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে সংসদে বিল নিয়ে আসুন৷ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত করুন।

বুধবার (৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নাই। এদেরকে ধাক্কা মারতে হবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এই সরকারের একটাই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বিএনপিকে ধ্বংস করে দেওয়া। এটা আরও আগেই শুরু হয়েছে। ১১/১ তাদের আন্দোলন সফল, সেটার প্রতিদান দিতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বাসিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাদের কথায় আন্দোলনের ফসল। আজকে ১৩/১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করেছে। বিএনপি দাবি মেনে নিয়েছিল। পরপর চারটা নির্বাচন হয়েছে, সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন বাকশাক করেছিল, একটা পত্রিকা রেখে সব বন্ধ করেদিয়েছিল। আজকে আবার পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছে। এর মাধ্যমে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরপর তিনটা বিস্ফোরণ। ঢাকায় দুটো, চট্টগ্রামের ঘটনায়, সরকারের কারো কোনো দায় নেই। ঢাকায় সিদ্দিক বাজারের ঘটনায় ১৭ জন মারা গেছেন। সরকারের দায়িত্ব হলো কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা এটা দেখা, অথচ তাদের কোথাও কোনো খরব নেই।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মনে রাখতে হবে, ছোট খাট ভেদাবেধ ভুলে গিয়ে আমার যদি নেতৃত্ব দিতে পারি তাহলে আজকের আলোচনা সার্থক হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো। ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু হয়নি। তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না। এই ষড়যন্ত্র স্বমূলে উৎখাত করতে হবে। তাহলেই কেবল আজকের আলোচনা সার্থক হবে।

তিনি আরও বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে।

মোশাররফ বলেন, ২৭ দফা এবং ১০ দফায় দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। আমাদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কোন ব্যক্তি নয় দলকে নিতে দায়িত্ব নিতে হয়। তাই আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সময় নাই। নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে, সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭ তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষ্যে এ আলোচনার আয়োজন করে বিএনপি। দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চলানায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ। এছাড়া অঙ্গদলগুলোর নেতারা বক্তব্য দেন।