Home রাজনীতি দলীয় প্রতীক ছাড়া ভোট জনগণেরই চাহিদা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনমন্ত্রী

দলীয় প্রতীক ছাড়া ভোট জনগণেরই চাহিদা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনমন্ত্রী

20

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া হওয়াটা জনগণের চাহিদা। এজন্যই জনগণের সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। উপজেলা নির্বাচন যখন আগে হতো তখনো তো উনারা ছিলেন। বিএনপি যখন আগে দলীয় প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচন করেছিলো তখন কি তাদের নৈতিক পরাজয় হয়েছিলো? এগুলো তাদের উদ্ভট কথা বললে মনে হয় উত্তর দেয়ার প্রয়োজন হয়না।
গতকাল শনিবার সকালে কসবা পৌর শহরে আইনমন্ত্রীর মায়ের নামে নবনির্মিত জাহানারা হক পাবলিক লাইব্রেরীর ভবন ও কসবা পৌর সভার বাস্তবায়িত ২০টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন শেষে প্রতীক বিহীন নির্বাচন আওয়ামীলীগ সরকারের আরেকটি নৈতিক পরাজয় বিএনপি নেতা মঈন খানের এমন মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হলো জনগন যেভাবে অভ্যস্থ সেই অভ্যস্থ অবস্থায় নির্বাচন করাটা আমার মনে হয় সঠিক। এর আগে প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিলো এবং আমার মনে হয় ভবিষ্যতে প্রতীক দিয়েই কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। ভবিষ্যতে যতই গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে দেশে এটা কিন্তু একটা অনিবার্য জিনিস হয়ে যাবে। আজকে সেই শিক্ষনীয় প্রসেসের মধ্যে যদি এবার প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হয় সেটা বাংলাদেশের জন্য ভাল হবে এবং সেটা জনগনের চাহিদা বলেই জনগনের সরকার এবং জনগনের সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে।
এসময় আইন মন্ত্রনালয়ের সচিব গোলাম সারোয়ার, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবন ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ প্যানেল মেয়র আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী ও কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি কসবা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প কাজের উদ্ভোধন করেন।