Home জাতীয় দক্ষিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটাবে পদ্মা সেতু

দক্ষিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটাবে পদ্মা সেতু

53

নাজির আহমেদ সজল: ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বরিশালের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সড়কপথে যোগযোগ স্থাপন হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রাচ্যের ভ্যানিস হিসেবে খ্যাত বরিশাল সার্বিক দিক থেকে এগিয়ে যাবে। বিশেষ করে সেতুটি এই অবহেলিত অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটাবে বলে বিশ্বাস করছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষগুলো। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন এক দিগন্ত। তাই পদ্ম সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিনের মানুষের মধ্যে প্রত্যাশার কমতি নেই। দক্ষিনের মানুষের প্রত্যাশা বরিশালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প কারখানা স্থানপন, তৈরী পোশাক কারখানার প্রসার, হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃস্টি, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন, পর্যাটন শিল্পের বিকাশ, মাছসহ কাচামালে পরিবহনের ক্ষতির হ্রস, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যোগোযোগের সময়ও খরচ হ্রাসসহ সাবির্ক ভাবে দক্ষিনাঞ্চনের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। কমবে সড়কপথে চাঁদাবাজী। এ সকল প্রত্যাশা মধ্যেও ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা প্রযর্ন্ত প্রশস্থ না হওয়া নিয়েও রয়েছে হতাশা। দীর্ঘ দিনের আরামদায়ক নৌপথের ও আকাশ পথের যাত্রী হ্রাস নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন এ সেক্টরে বিনিয়গকারীরা। তবে যাই হোক না কেন পদ্মা সেতুকে ঘিরে দক্ষিনের মানুষের প্রাপ্তিই বেশী।
এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলছেন পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে বরিশালের শিল্পবিল্পব ঘটবে। যার মধ্য দিয়ে নতুন দুয়ার খুলবে কর্মসংস্থানের। তাদের মতে, পায়রা বন্দর ও তাপ বিদুৎ কেন্দ্র এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে পদ্মা সেতু চালু হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কপথে ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে। সেই সাথে শিল্প বিল্পব ঘটবে, বিকাশ হবে পর্যটন শিল্পেরও। বিপুল জনগোস্টির কর্মসংস্থানের দ্বার উম্মেচন হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিয়া রহমান বলেন, বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চল সকল সূচক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। পদ্ম সেতু ও পায়রা বন্দরের কারনে এ অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। সেই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে দক্ষিনাঞ্চলের বিপুল পরিমানের জনগোস্টির কর্মসংস্থনের সৃস্টি হবে বলে প্রত্যাশা করি।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের অংশ পায়রা বন্দর,তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্প। এক কথায় ধারাবাহিক উন্নয়নে এখন আমরা শতভাগ নিশ্চিত বরিশালে দ্রুত শিল্প বিল্পব ঘটবে। ঘটবে পর্যাটন শিল্পেরও। আর এ কাজটিতে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হলে এখন ভোলার গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে বরিশালে আনা। প্রধানমন্ত্রীও ভোলার গ্যাসের বিষয়ে বরিশালবাসীকে আগেই আশ্বস্ত করেছেন । তিনি বলেন,দক্ষিণাঞ্চলের হাব হচ্ছে বরিশাল। বরিশালে গ্যাস আসা মানেই পোশাক শিল্পসহ উৎপাদন ও রপ্তানিমুখি নানান শিল্পের কারখানা গড়ে উঠবে। পদ্মা সেতু নির্মাণকালের মধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠানই শিল্প কারখানা গড়ার জন্য ভূমি সংগ্রহের কাজে সেরে ফেলেছেন।
এফবিসিআইএর পরিচালাক নিজাম উদ্দিন মৃধা পদ্মা সেতুর চালুর পরে নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলে পর্যাটন শিল্পের বিকাশ ঘটেবে বলে দাবী করেছেন । তিনি বলেন, বরিশালসহ তথা দক্ষিনালঞ্চের সাথে রাজধানীশহর ঢাকার দুরত্বর অনেক ক্ষেত্রে সহজতর হচ্ছে। ঢাকা থেকে পর্যাটন কেন্দ্র কুয়াকাটর আসতে সময় লাগে সর্ব্বোচ্চ ৫ঘন্টা। এতো দিন যাতায়ত সমস্যার কারনে বরিশালের পর্যাটন শিল্পের বিকাশ ঘটেনি। বিশেষ করে সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ নদীবেষ্টিত অপার সম্ভাবনাময় বরিশালের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটাতে হবে। এতে করে এই সেক্টরেও বিপুল পরিমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে সৃস্টি হবে।