Home কৃষি তেল-বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে সেচ পাম্প

তেল-বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে সেচ পাম্প

অভাবনীয় আবিষ্কারে নাটোরের সিংড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাসুদ

68

মোল্লা এমরান আলী রানা সিংড়া (নাটোর)।। আবাদি জমিতে সেচ দিতে তেল-বিদ্যুতের ঝামেলা আর না। লোডশেডিং কিংবা তেলের অভাবে মেশিনও বন্ধ থাকবে না। এসব ছাড়াই চলবে কৃষকের সেচ পম্প। ঘরে তুলবে সোনার ফসল। এমন অভাবনীয় সেচপাম্প আবিষ্কার করছেন নাটোরের ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাসুদ রানা। তাহলে কিভাবে চলবে এই পাম্প-এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলছেন, চুম্বক শক্তির সাহায্যে পাখায় চলবে এই সেচপাম্প। তার আবিষ্কৃত এই যন্ত্র দেখতে জনতার ভীড় বাড়ছে প্রতিদিন।
জানাগেছে, বিদ্যুৎ-জালানি তেল ও গ্যাস ছাড়াই চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচপাম্প তৈরী করছেন নাটোরের সিংড়া থানার ইটালি ইউনিয়নের মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবক। অভাবনীয় এই আবিস্কারের কথা শুনে প্রতিদিন মাসুদের ওই যন্ত্রটি তৈরী করা দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা।
২ বছর আগে থেকেই কৃষক মাসুদের স্বপ্ন ছিল চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচপাম্প তৈরী করবেন। যাতে বিদ্যুৎ ও তেল খরচ না লাগবে না। স্বল্প খরচে কৃষকরা তাদের জমিতে পানি সেচ দিতে পারবেন। একসময় তার উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটি ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে শুরু করেন কাজ। লোহার অ্যাঙ্গেল, প্লেনশিট,প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে তৈরী করছেন এই বিদ্যুৎ ও তেলবিহীন সেচপাম্প। সেচপাম্পটি ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে তাই উৎসুক জনতা প্রতিদিনই দেখতে আসছেন তার এই যন্ত্রটি।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আগতিরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দন্ডায়মান ১০ ফুট উচ্চতার ৬ পাখা বিশিষ্ট সেচপাম্প যন্ত্র আছে। পাখার মাঝ খানে বড় আকৃতির চাকা। সেই চাকায় লাগানো হয়েছে ফিতা। প্রতিটি পাখার মাঝে বসানো হবে শক্তিশালী চুম্বুক। চুম্বুকের শক্তিতে ঘুরবে পাখা, সেই সাথে ঘুরবে ফিতা লাগানো চাকা আর চাকার সাথে লাগানো ফিতা ঘুরাবে সেচপাম্পকে। এভাবেই বিদ্যুৎ তেল ছাড়াই সেচপাম্প থেকে উঠবে পানি। এমনটাই জানাচ্ছিলেন যন্ত্রটির উদ্বাবক মাসুদ রানা।
মাসুদ আরও জানায়, এপর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তবে চুম্বক সহ বাকি আরও যন্ত্রাংশ কিনে পুনার্ঙ্গ যন্ত্রটি বাস্তবায়ন করতে তার আরও ১ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে।
চুম্বুক শক্তির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাইলে মাসুদ বলেন, আমি ব্যাখ্যা দিতে পারবো না তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি এটাকে বাস্তবে রুপ দেবো। মাসুদ জানায়, আগামী ৩ মাসের মধ্যে যন্ত্রটির বাকি কাজ শেষ করে পরিপূর্ণ করবো। তবে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ আমার পরিকল্পনায় প্রয়োজনে যদি কারিগরি সহযোগিতা লাগে তাহলে আমি যেন সেই সহযোগিতা পাই।