আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভুমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার। উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেকেছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনা বাহিনী। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
গত ৬ ফেব্রচয়ারি সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ারতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে প্রথম শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। একই দিন প্রথম ভূমিকম্পের ১০ ঘন্টা পরে দ্বিতীয় বার ভূমিকম্প হয়। উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ভাগ। এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া টারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বিভিন্ন শহরে ৫ হাজার ৬শ’র বেশি ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু বহুতল আবাসিক ভবন রয়েছে। ভূমিকম্পের সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল।
এ পর্যন্ত মোট প্রাণহানি ৫০ হাজার ১৩২ জন। এদিকে তুরস্কে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৮ জন এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৯১৪ জন ।
ইউক্রেন থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সহায়তা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া কর্মকর্তারা কলেছেন, বড়ো বড়ো বিমান বন্দর গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে সহায়তার কাজ জটিল হয়ে পড়েছে। আরো রয়েছে তুষার ঝড় ও বরফ যা রাস্তায় চলাচলে বাধাগ্রস্ত করছে।
এদিকে নগরীর বাসিন্দারা এখনও হিমশীতল রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। অনেকে ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছে।
এদিকে বছরের পর বছর গৃহ যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহতদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ার স্বস্থ্য মন্ত্রনালয়ের খবরে বলা হয়েছে, আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টারটাসে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশী প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম ইস্তাম্বুল থেকে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তুষার পাতের কারনে উদ্ধার কাজে উদ্ধার কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, তুরস্কের বিভিন্ন শহরগুলো থেকে দুর্গত এলাকায় সাধারণ মানুষ স্বজনদের খোঁজে ছুটে যাচ্ছে। পাশাপাশি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এরাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়েছিল।