Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য যে কোন ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই : মোস্তাফা...

ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য যে কোন ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই : মোস্তাফা জব্বার

44

স্টাফ রিপোটার:’ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাভাষা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা। বাংলা হরফের বিস্তৃতি আরও বেশি। অসমীয়সহ বেশ কিছু ভাষায় বাংলা হরফ ব্যবহৃত হয়। অথচ এক সময় বাংলাভাষা ছিল উপেক্ষিত। বাংলাভাষা এখন পৃথিবীর সকল ডিজিটাল যন্ত্রে লেখা যায়। বাংলাভাষার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে। ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য যে কোন ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই। তিনি বাংলাভাষাকে পৃথিবীর মধুরতম ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী রোববার রাতে ঢাকায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রে কবি জীবন তাপস তন্ময়-এর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক।

কবি অসীম সাহা‘র সভাপতিত্বে এই সভায় সংসদ সদস্য রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক, বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর ও কবি জীবন তাপস তন্ময় বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কবিতা হচ্ছে ভাষা সাহিত্যের প্রাণ আর কবি হচ্ছেন অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের পূজারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য বাংলাদেশ। কবি শামসুর রাহমান কিংবা হুমায়ুন আহমেদ আজ বাংলা সাহিত্যের পরিচিত নাম অথচ এমন এক সময় ছিল শরৎ কাহিনী ছাড়া বিকল্প কিছু পড়ার ছিল না আমাদের। ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা ভাষার এ্ই উদ্ভাবক বলেন, ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলাভাষা উদ্ভাবনের পর থেকে বাংলা প্রকাশনার জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচিত হয়েছে। একুশের বই মেলার স্টলগুলোতে বইসমূহে যখন আমার হাতে তৈরি বাংলা ফন্টের লেখা গুলো দেখি, আমার গর্ব হয়, আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি। বাংলা হরফের মতো বিজ্ঞান সম্মত হরফ অন্য ভাষায় নেই উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেবনাগরী কিংবা হিন্দীতেও সব ভাষা সঠিক উচ্চারণ করার সুযোগ নেই। বিদ্যাসাগর বাংলাকে সমৃদ্ধ করে গেছেন নতুন প্রজন্মের কবি –সাহিত্যিকরা পৃথিবীতে বাংলাভাষার অবস্থান আরও শক্তিশালী করবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক, এমপি বলেন, কবিরাই আমাদের পথ দেখায়, তারাই আলোকবর্তীকা হিসেবে আবির্ভুত হয়ে থাকেন। কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার কবিদের মানবতাবাদী ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় অসীম সাহা বলেন কবি –সাহিত্যিকরা একাই এক একটা প্রতিষ্ঠান। আগামী দিনে তরুণ কবিরা কবিতার রাজত্বে বিচরণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ১৯৮৩ সালে জনাব মোস্তাফা জব্বার সম্পাদিত মাসিক নিপুণ পত্রিকায় দায়িত্ব পালনকালে একটি কভার স্টোরিকে কেন্দ্র করে নিপুণ পত্রিকার অতিরিক্ত তিনটি সংস্করণ বের করতে হয়েছিল উল্লেখ করে শুদ্ধতার এই কবি বলেন, কাজের প্রতি একাগ্রতা থাকলে সফলতা নিশ্চিত। তিনি ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনকে বাংলাভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাভাষায় বিশেষ অবদানের জন্য জনাব মোস্তাফা জব্বার -এর একুশে রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্তির প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, যতদিন বাংলাভাষা থাকবে ততদিন জনাব মোস্তাফা জব্বার-এর নাম ম্লান হবে না।