Home কুটনৈতিক ও প্রবাস ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ- ভারত মিলনমেলা হয়নি

ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ- ভারত মিলনমেলা হয়নি

38

আবদুল্লাহ আল নোমান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তের ৩৭৩ ও ধর্মগড় ইউনিয়নের ৩৭৪ এবং হরিপুর উপজেলার ৩৬৮ থেকে ৩৭১ পিলারের কাছে নাগরভিটা নদীর তীরে বসে দুই বাংলার লাখো মানুষের মিলনমেলা। গত দু’বছর করোনা মহামারের কারণে এবং এ বছর প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এ মিলনমেলা হয়নি। প্রতিবছর বাংলা পহেলা বৈশাখের প্রথম দিন এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনে এ মেলা হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এ মেলাকে ঘিরে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া এবং অপরদিকে আসাম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ভারতের কোচবিহার, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও মিনিবাসযোগে হাজারো মানুষ এ সীমান্তে হাজির হয়। চলে প্রিয়জনকে দেখার প্রতীক্ষার প্রহর।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এদিনে সকাল থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এসে জড়ো হয় সীমান্তে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা মানুষজন একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়না। সারা বছর দুই বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে এই দিনটির জন্য। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগে থেকেই জানিয়ে দেন স্বজনরা। কে কোথায় দেখা করবেন। এই মিলনমেলায় দুই বাংলার লাখো মানুষ মিলিত হয়ে সেরে নেন স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়। তবে গত দু’বছর করোনা প্রকোপ বেশি থাকায় দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা ঘটেনি। এ বছরও শুনছি প্রশাসনিক জটিলতার কারণে মেলা হবে না সকাল থেকে অনেক মানুষ আসছেন আবার রাস্তা থেকেই ঘুরে যাচ্ছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলা জুড়ে মাইকিংও করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি কাউকে সীমান্তের কাছে যেতে দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে মানুষ বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।