Home সারাদেশ ঝিনাইগাতীতে মাছের প্রজেক্টের ৮-১০ লাখ টাকা ক্ষতির ১৯ দিনেও পাচ্ছেনা সঠিক বিচার

ঝিনাইগাতীতে মাছের প্রজেক্টের ৮-১০ লাখ টাকা ক্ষতির ১৯ দিনেও পাচ্ছেনা সঠিক বিচার

35

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুরা গ্রামে ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকাল আনুমানিক সময় ৭-৫ টার মধ্যে বৃষ্টির দিন মাছের প্রজেক্টের জাল কেটে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার মাছ বের করে ক্ষতির সাধন করলো মো: আকরাম হোসেন(৫০) এমনই অভিযোগ আনলেন পশ্চিম বাকাকুরা গ্রামের মো: সুলতান আলীর ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫)। কিন্তু ঘটনার ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও কোথাও পাচ্ছেনা এর সঠিক বিচার।

আব্দুল ওহাব বলেন,বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হলে শুক্রবার সকালে আমার ছেলে নিরব (১৫)কে নিয়ে আমি আমাদের মাছের প্রজেক্টে যাই। প্রজেক্টে গিয়ে দেখি আমার প্রজেক্টের নিচের আবাদি ধানের জমির ধান নষ্ট করে আকরাম জাল দিয়ে মাছ মারছে। আর আমার মাছের প্রজেক্টের সাথেই এই আকরামের বাড়ি। আমার বাড়ি প্রজেক্ট থেকে দূরে হওয়ায় আমরা তাকে কিছু না বলে প্রজেক্টের চার পাশের পাড় ও জাল চেক করি।দেখলাম কোথাও কোনো সমস্যা নেই। তারপরও আমরা দুই বাপ বেটা মিলে সব কিছু ঠিক করে দিলাম।

আর সেই দিনই বাড়িতে আমার ভাতিজির বিয়ের সুবাদে বাড়িতে থাকতে হবে তাই আমি আকরাম কে বললাম ভাই আমার বাড়িতে বিয়ে একটু মাছের প্রজেক্টের দিকে লক্ষ্য রাখবেন যেহেতু আপনি এখানেই মাছ মারছেন। কোনো সমস্যা দেখলে আমাকে জানাবেন। তখন আকরাম বললেন,ঠিক আছে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবো।
আব্দুল ওহাব বলেন,দুপুরের দিকে আমার ছেলে নিরবকে প্রজেক্টে পাঠালে এসে দেখে আমাদের প্রজেক্টের জাল কাটা।

ওহাব বলেন, আমার ছেলে জাল কাটা সম্পর্কে আকরামকে বলা মাত্রই তাকে ভয়ভীতি দেখান। তারপর আমার ছেলে আমাকে গিয়ে বললে আমি প্রজেক্টে দৌড়ে এসে দেখি প্রজেক্ট থেকে সমস্ত মাছ বের হয়ে গেছে। আমি মাথায় হাত দিয়ে প্রজেক্টের পাড়ে বসে পরলাম। তারপর আমি আকরাম কে বললাম ভাই কয়েক কেজি মাছের জন্য কেন আপনি আমার জাল টা কেটে এতো বড় ক্ষতি করলেন। তখন আকরাম আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতি সহ কবিরাজের কথা বলে এগুলো উরিয়ে দিয়ে বলে আমি যে এই কাজ করেছি কে দেখেছে পারলে প্রমান করে দেখায়ও।

আব্দুল ওহাব বলেন, আমি একজন গরিব মানুষ আমি গরু,ছাগল যা ছিল সব বিক্রি করে এমনকি ঋন পাতি করে এই মাছের প্রজেক্টটা করেছিলাম। এমনকি বিভিন্ন দোকান থেকে প্রায় ২-৩ লাখ টাকার মাছের খাদ্য বাকি নিয়েছি। আজ থেকে আমি স্বর্বহারা, আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে পথে ভিক্ষা করা বা আমাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

আর আমি গ্রামে জনপ্রতিনিধি,মুরব্বিসহ সকলের কাছে বিচার চাইলে তারা বলেন আমরাতো বিষয় টা স্বচোখে দেখিনি তাই আমরা এর সমাধান দিতে পারবো না। এভাবে অনেক দিন চলে যাওয়ার পরোও কোথাও কোনো বিচার পাচ্ছিনা। তাই আমি এর সঠিক বিচারের জন্য আইনের সাহায্য চাই যেনো এতো বড় ক্ষতির আমি সঠিক বিচার পাই

অভিযুক্ত ব্যক্তি আকরামের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনোই এই ধরনের কাজ করিনি,কে বা কাহারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই কাজটি করেছে। যারাই এই জঘন্য কাজের সাথে জরিত আছে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের খুজে বের করে জরিমানা সহ কঠিন শাস্তি প্রদান করা হোক।

ঝিনাইগাতী উপজেলা মৎস্য অফিসার বলেন,ঘটনাটি অনেক বড় ব্যাপার তাই আমরা গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়টি দেখবো সেই সাথে অপরাধী কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি যেনো হয় এমন ব্যবস্থা করবো।