Home জাতীয় জোরপূর্বক জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় যুবলীগ নেত্রীর উপর হামলা

জোরপূর্বক জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় যুবলীগ নেত্রীর উপর হামলা

56

নাজমুল মোড়ল, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে জোরপূর্বক জমি দখলে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন দুলালী খানম নামে এক যুবলীগ নেত্রী। এ সময় তাকে শীলতাহানীরও চেষ্টা চালায় হামলা কারীরা। উক্ত ঘটনায় আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের থানতলী ৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। দুলালী খানম মাদারীপুর জেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুলালী খানমের স্বামী মোঃ হানিফ খান তার চাচতো বোন মনি বেগম তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্য একই এলাকার বাসিন্দা হাশেম বেপারীর কাছে বায়না করেন। কিন্তু হাশেম বেপারী জমির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করেই বিভিন্ন সময় তার লোকজন দিয়ে জমিতে দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসছিল।

তারই জের ধরে আজ সকাল ১০ টার দিকে হাশেম বেপারীর নেতৃত্বে সেকেন থানতলী এলাকার বাসিন্দা হাওলাদারের ছেলে আঃ জলিল হাওলাদার, খোকন বেপারীর ছেলে মানিক বেপারী, সিরাজ মোল্লার ছেলে তুহিন মোল্লা সহ আরো শতাধিক লোকজন এসে জমিতে দখল নেয়ার চেষ্টা চলায়। এ সময় হানিফ খান ও তার স্ত্রী দুলালী খানম সহ তার বোনেরা এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুলালি খানমকে শীলতাহানীর চেষ্টা সহ তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালালে তার ছেলে সহ আরো আরো কয়েক জন আহত হন। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেন দুলালী খানম।

এ ব্যাপারে দুলারি খানম বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমার স্বামীর বোনদের সম্পত্তি দখল করতে এলে আমারা সবাই বাঁধ দেই। এসময় তারা আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালায়।

দুলালী বেগমের স্বামী হানিফ খান বলেন, আমার চাচা হামেদালী সরদারের মেয়েরা তাদের সম্পত্তিও বিক্রি করা নিয়ে কিছুটা ঝামেলা তৈরি হয়। কিন্তু আমি তাদের পক্ষ নিতে গেলে হাশেম বেপারী তার ভাড়া করা লোকজন দিয়ে বিভিন্ন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ তারা কয়েকশ লোকজন নিয়ে এসে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে আমরা সবাই মিলে বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মানিক বেপারী বলেন, আজকে আমরা এমনিতেই জমি দেখতে গিয়েছিলাম। এসময় উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।