Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবি শিক্ষক জনির দায়মুক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

জাবি শিক্ষক জনির দায়মুক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

125

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির দায়মুক্তির অপচেষ্টা ও বিতর্কিত সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক বানানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ই আগষ্ট) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক সমূহ প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের ও বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

এ বিষয়ে জাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, “শরীফ এনামুল কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকার সময় তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বান্ধব ছিলেন না। নিজের কাছের মানুষদেরকে পছন্দমতো পদে আসিন করেছেন। তাঁর সময় জুবায়ের হত্যাকান্ড ঘটেছিল, সেই ছাত্রলীগের খুনিদেরকে বাঁচানোর জন্য তিনি নানা প্রচেষ্টা জারি রাখেন। যিনি উপাচার্য থাকা কালে এত অনাচার এবং একাট মাৎসনায় অবস্থা বিরাজ করেছিল তাকে ইমেরিটাস অধ্যাপক পদে আসিন করার যে নজির প্রশাসন তৈরি করতে যাচ্ছে সেই নজিরে প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই।

একই সাথে মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের যে অভিযোগ এ অভিযোগের দায়মুক্তির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর তাকে মুক্তি দিলে শিক্ষক – শিক্ষারর্থীর যৌনাচার এবং প্রেমের সম্পর্ক যে স্বভাবিক সেটার স্বীকৃতি দেয়া হবে।

আমরা চাই মাহমুদুর রহমান জনির দায়মুক্তির এবং শরীফ এনামুল কবিরকে যে আসনে আসিন করার কথা ভাবা হচ্ছে, প্রশাসন যেন তাদের কাজের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিষয়টি বিবেচনা করে।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ২০১২ সালে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে একই ডিপার্টমেন্টের ৪২তম ব্যাচের ছাত্রী ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে অফিসকক্ষে তোলা তার অন্তরঙ্গ একটি ছবি ফাঁস হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দেয়ালে পোস্টারিং করা হয়। পরে জনির বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির রিপোর্ট পূর্ণাঙ্গ হয়নি মর্মে পুনরায় স্পষ্টীকরণ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চলতি বছর জানুয়ারিতেও একই বিভাগের ৪৩ ব্যাচের আরেক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জনির পক্ষে ‘দায়মুক্তি’ পত্র লেখানোর অভিযোগ ওঠে।

সবশেষ ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।