Home জাতীয় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে পড়তে পারবে: তাপস

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে পড়তে পারবে: তাপস

24

স্টাফ রিপোটার: রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে শরিক হতে পারবেন।জাতীয় ঈদগাহ প্যান্ডেলের আয়তন ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার। এছাড়াও প্যান্ডেলের বাইরে চারপাশের রাস্তাগুলোতেও আরও অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করে থাকেন বলে নিশ্চি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ।
আজ দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাতের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনৈতিকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ঢাকাবাসীকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতি আমাদের সাথে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, কূটনৈতিকসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকাবাসী ও সাধারণ মুসল্লি সকলের জন্য সুষ্ঠু আয়োজন করা হয়েছে। ওযুখানাসহ মহিলাদের জন্য আলাদা পথ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে এই ভ্যাপসা গরমে কেউ কষ্ট না পায়। সবদিক বিবেচনা করে হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি হলে যাতে পানি জমতে না পারে বা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে, তাই পুরোটাই আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি এবং পর্যাপ্ত পাখা ও চিকিৎসা সহযোগিতার ব্যবস্থাও রেখেছি। গতবারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র বেশি রাখা হয়েছে, চিকিৎসক বেশি রাখা হয়েছে। কারণ, যে তীব্র তাবদাহ চলছে তাতে কেউ অসুস্থ হলে যেন সেবা দেওয়া যায় সেজন্য সিভিল সার্জন অফিসসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আলাদা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে। আর যেহেতু রাষ্ট্রপতি আসবেন, তাই এসএসএফসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। আমরা আশাবাদী, একটি সুন্দর-সুষ্ঠু পরিবেশে ব্যাপক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের মূল জামাত আয়োজন করতে পারছি। আমরা পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। জাতীয় ঈদগাহে সবাইকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা অপেক্ষায় আছি।

ঈদগাহ পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।