Home কুটনৈতিক ও প্রবাস ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালন

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালন

34

বিশেষ প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন ডিসি:
বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বানের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি’র বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়েছে।

১৯৭২ সালের ০৪ নভেম্বর বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্খিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর এটি কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা।

পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান: মানবাধিকার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন এবং আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন।

আবদুল হাই মিলটন তার প্রবন্ধে সংবিধান প্রণয়নের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন যেহেতু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণই হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, সেহেতু জনগণের আকাঙ্খার সর্বোচ্চ দলিল সংবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন মানবাধিকার সুরক্ষায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান যে রক্ষাকবচসমূহের ব্যবস্থা করেছে তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে একটি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক নাগরিক যার যার অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে ।

প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন স্বাধীনতার মাত্র ১১ মাসের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান জাতিকে উপহার দেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এই পবিত্র সংবিধানকে সমুন্নত রেখে দেশের কষ্টার্জিত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় সংবিধান দিবসকে বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন এই সংবিধান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান এবং এই পবিত্র সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মাত্র ১১ মাসের মধ্যে সদ্য স্বাধীন জাতিকে এর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংবিধান উপহার দেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।