Home মতামত জর্নাল ২০২৩: তাজউদ্দীন আহমদ কে?

জর্নাল ২০২৩: তাজউদ্দীন আহমদ কে?

185

জিয়াউল হক মুক্তা:

মস্কোপন্থি ন্যাপ-সিপিবি ঘরানার যতো লোক সাম্প্রতিককালে বইপত্র লিখেছেন— তাদের মধ্যে একমাত্র সৎ মানুষ হলেন মঈদুল হাসান; বাকি সব ইতর, মিথ্যাবাদি ও মূর্খ। অবশ্য আমার প্রত্যাশা আছে এই ঘরানার দু’জনকে নিয়ে যে তারা যদি কখনো লেখেন, সত্য লিখবেন। তারা হলেন কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান ও কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। কমরেড খান সম্প্রতি পাবলিকলি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবি জিয়াউর রহমানের দালালি করেছিল। কমরেড সেলিমও পাবলিকলি স্বীকার করেছেন যে আওয়ামী ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে সিপিবির ছাত্র ইউনিয়ন ডাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগকে হারাতে ভোট ডাকাতি করেছিলেন। সততার স্বীকারোক্তির জন্য তাঁদের উভয়ের প্রতি প্রণাম। সে যাক; আজকের প্রসঙ্গ ভিন্ন।

প্রাতিষ্ঠানিক-ঋণে জর্জরিত যদিও, এবারের বইমেলা থেকে প্রচুর বই সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর কিছু পড়েছি, কিছু পড়ছিলাম। এর মধ্যে আবারও গত পরশু রাতে বেঙ্গল বুকস থেকে অ্যালি হ্যাযেলউডের লাভ হাইপোথিসিস ও লাভ অন দ্য ব্রেইন আর মঈদুল হাসানের উপধারা একাত্তর মার্চ-এপ্রিল সংগ্রহ করলাম। বাসায় ফিরেই পড়তে শুরু করেছিলাম; মাত্রই শেষ করলাম; উচ্ছাস সামলাতে না পেরে এই পোস্ট লিখছি। একটি ভালো বই পড়তে পারার আনন্দ শেয়ার করা উচিত, যাতে অন্যরাও তা সংগ্রহ করেন ও পড়েন।

মূলধারা একাত্তর লিখে নব্বইয়ের দশক থেকে মঈদুল হাসান আমাদের মতো একাত্তর-উত্তর প্রজন্মের অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কাছে পরিচিত হন। একাত্তরের প্রজন্ম তাঁকে ভালোই চেনেন-জানেন। উপধারা একাত্তর বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে সোয়া সাত বছর আগে— এতোদিন তা চোখে পরেনি কেন ভেবে মন খারাপ হলো।

শেষ প্রচ্ছদে এর যে পরিচিতি দেয়া হয়েছে, তাতে এর বিষয়াবলী পরিস্কার করে বলা হলে ভালো হতো; প্রকাশনাশিল্পে দোকানদারিত্বের চাপ থাকলে যা হয় আর কী! বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা।

স্মৃতিচারণমূলক এই বইটির প্রথম বিষয় হচ্ছে একাত্তরে অধিকৃত ঢাকায় প্রতিরোধ আন্দোলনে সহায়তা করার জন্য অনানুষ্ঠানিক একটি গ্রুপ গড়ে ওঠার অর্গানিক প্রক্রিয়ার বিবরণী। আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতকে জোটনিরপেক্ষ নীতি থেকে সরে এসে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ার্ক। আমি স্বস্তি পেয়েছি এটা পড়ে যে অতীতে যে চুক্তির খসড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেও ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি, বাংলাদেশের একজন ব্যক্তির বিশ্লেষণ ও পরামর্শের পর ভারত সেই চুক্তি পরিমার্জন করে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যুথবদ্ধ হয়। আমি বারবার স্বস্তি পাই যখনই জানি আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে আমরা আমাদের মস্তিস্কই ব্যবহার করেছি— শীতলযুদ্ধের বিশ্বপরিস্থিতিতে— চিন-আমেরিকা-ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তির প্রভাববলয়ে। এটা আমার গর্ব। অন্তর্গত ও প্রাসঙ্গিক আরো বিষয়াবলী থাকরেও এই দুটো পয়েন্টই হলো বইটি নিয়ে আমার উচ্ছ্বাসের কারণ। মঈদুল হাসানকে প্রণাম।

দেশপ্রেমের বাইরেও পেশাজীবীদের জন্য এতে শেখার আছে ইনফ্লুয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়াগত খুঁটিনাটি।

বইটির সূত্রে আমার নিজের সামান্য নোট আছে। তা নিচে লিখছি।

উপধারা একাত্তর উৎসর্গপত্রে মঈদুল হাসান লিখেছেন, “তাজউদ্দীন আহমদ— ১৯৭১ সালে যাঁর নেতৃত্বে স্বাধীনতাযুদ্ধ সফল হয়েছিল।” তাঁর বক্তব্যের সাথে উত্তরপ্রজন্মের আমি একমত।

একাশি পৃষ্ঠায় শহীদুল্লাহ কায়সার মঈদুল হাসানকে বলছেন, ‘স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা না করে, কিছুই না জেনে, আমরা কি শুধু শুধু মৃত্যুর প্রতীক্ষা করব?’ জবাবে হাসান বলছেন, ‘নিশ্চয়ই স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিটির সঙ্গে যথাশীঘ্র যোগাযোগ করা দরকার।’ তাঁরা বলছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে।

হ্যাঁ, তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতাযুদ্ধ সফল হয়েছিল, এটাই ঐতিহাসিক সত্য; যারা ভিন্ন কথা বলবেন তারা নর্দমার কীট। একাত্তরে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হবার পর তাজউদ্দীন আহমদের সরকার ছিল স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল কেন্দ্র তাতেও কোন ধরনের সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি যখন তাজউদ্দিনকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তি বলেন তখন খটকা লাগে। এটা কী একটি মুদ্রণপ্রমাদ? নাকি অসতর্কতাজাত সংযোজন?

মঈদুল হাসান সত্যিকারের শিক্ষিত মানুষ; তাঁর ভুল হবার কথা নয়। আমি এমনকি তাঁর মূলধারা একাত্তর শব্দযুগলও সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করতে রাজি আছি, কেননা একাত্তর সালে যুদ্ধের ব্যাপ্তি ছিল নয় মাস, আর তাঁর শব্দযুগলের ডিটারমিন্যান্ট হচ্ছে একাত্তর।

কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আমার ঘোরতর আপত্তি আছে। শিক্ষিত মানুষ হাসান অবশ্যই জানেন যে অর্থনৈতিক আন্দোলনের ঘনীভূত রূপ হচ্ছে রাজনৈতিক আন্দোলন, আর রাজনৈতিক আন্দোলনের সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে সশস্ত্র আন্দোলন বা সশস্ত্র সংগ্রাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যে সিরাজুল আলম খানের মতো কর্মনিষ্ঠ ছাত্র ও যুব নেতৃত্ব দীর্ঘকাল ধরে পরিচালনা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকেও যে তাঁরাই নির্মাণ করেছেন তা হাসান নিজেও স্বীকার করেছেন তাঁর বইয়ের ঊনিশ পৃষ্ঠায়। সেজন্য তাঁর সূত্রেই বলা যায় সুদীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তি তাজউদ্দীন আহমদ নন, কিন্তু তিনি আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধে সফল হয়েছেন।

তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন জেনারেল। একজন সফল জেনারেল। যেকোনো জেনারেলের উর্ধতন রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ থাকেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁর সেই উর্ধতন রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ; বঙ্গবন্ধুর বাইরে এক চুল যাবার ক্ষমতা তাঁর ছিল না কোনোকালে। না স্বাধীনতার আগে, না স্বাধীনতার পরে; যুদ্ধকালেও তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো করে ট্যাকটিক্যাল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। আমার অনুধাবন, হয়তো একাত্তরে প্রতিটি কাজে তাঁর নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন ছিল, ওই রকম পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ঠিক কী করতেন। সেভাবেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে, সুদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালে তাজউদ্দীন বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেছেন। দলের ভিতরের স্বাধীনতাপন্থি, স্বায়ত্তশাসনপন্থি ও পাকিস্তানপন্থিদের ভূমিকা আর বিবিধ আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক শক্তি বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু সবসময় খুব সুকৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন; যে কারণে তাঁকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছিল, এমনকি কাজী আরেফ আহমেদের ভেটোর ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনার প্রধানতম প্লাটফর্ম স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা নিউক্লিয়াসও তাঁকে স্বাধীনতা আন্দোলনের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে সামনে আনার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে; ছয় দফা ঘোষণার অনেক পরে নিউক্লিয়াস তাঁকে প্রধান নেতা হিসেবে গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে একমত হন। তাজউদ্দীন আহমদ শুরু থেকেই নিউক্লিয়াস সম্পর্কে জানতেন বলে আমরা ধরে নিতে পারি, কেননা নিউক্লিয়াসের বুলেটিন বের করার জন্য যে সাইক্লোস্টাইল মেশিন কেনা হয়েছিল, আবুল কালাম আযাদ ও কাজী আরেফ আহমেদকে তা কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দীন। তাজউদ্দীন আহমদ তখন জেলে। তারপরও তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের স্বাধীনতাপন্থিদের মতো করে স্বাধীনতার পক্ষে সুতীব্র অবস্থান নেননি— স্বাধীনতার পক্ষে যেরকম সুতীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ও আরো কেউ কেউ।

এসব বলে তাজউদ্দীন আহমদকে খাটো করা হচ্ছে না। হয়তো এই ছিল তার নিয়তি; এই নিয়তি তাঁকে নিয়ে গিয়েছে একাত্তরের জেনারেলের ভূমিকায়। তখন হয়তো অন্য আর কেউ তাঁর মতো করে ভূমিকা রাখতে পারতেন না। তাতে বাঙালির ক্ষতি হয়নি, বরং লাভই হয়েছে।

আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ও আমেরিকার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ট্যাকটিক্যাল সম্পর্কের অনেক তথ্য উপস্থাপন করেছেন মঈদুল হাসান, সেগুলো সত্য। মস্কাইডদেরকে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা কমিটিতে মবিলাইজ করে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহায়ক শক্তি গড়ে তোলা আর আন্তর্জাতিক পরিসরে সোভিয়েত ইউনিয়নকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে টেনে আনতে তাদের ব্যবহার করতে তাজউদ্দীন আহমদ সম্মত হয়েছেন মানে এই নয় যে তিনি একজন প্রচ্ছন্ন বা ছদ্মবেশী মস্কাইড এবং তার মানে এই নয় যে তাঁকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ধারা। শীতলযুদ্ধকালীন বিশ্বপরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু যা করতেন, তিনিও তা করেছেন— আমেরিকার সাথে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগ যেই মাত্রায়ই থাকুক না কেন। মনে রাখতে হবে, এবং আমরা তা মঈদুল হাসানের কাছ থেকেই জানতে পারি যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও চুক্তির আগে বাংলাদেশ সরকারের ওই সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়, তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়; এবং তাজউদ্দীন আহমদ উদ্দেশ্য হাসিলের পরে ওই কমিটির আর কোনো সভাই ডাকেননি। মস্কাইড ও পিকিঙাইট নেতৃবৃন্দ যথারীতি নজরদারির মধ্যেই ছিলেন।

স্বাধীনতার পরও তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুর বাইরে যেতে পারেননি। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের পাকিস্তানপন্থি ও স্বায়ত্তশাসনপন্থিরা যখন বঙ্গবন্ধুকে গিলে খান ও বঙ্গবন্ধুকে বাধ্য করেন স্বাধীনতাপন্থিদের দল থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে, সেই স্বাধীনতাপন্থিগণ তখন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন করেন, তাজউদ্দীন আহমদ সেই দলের প্রধান হবার আমন্ত্রণ পেয়ে কয়েকদিন ভেবে জবাব দিয়েছিলেন যে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

বাহাত্তরে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ছাড়েন নি; কিন্তু আওয়ামী লীগের ভিতরের পাকিস্তানপন্থি ও স্বায়ত্তশাসনপন্থিদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু তাঁকে ছেড়ে দেন। তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধুকে ছাড়েননি, বঙ্গবন্ধুর অনুসারী হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি বঙ্গবন্ধুর একক-দল বাকশালের পলিটব্যুরোর সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদের নির্দেশে কারাগারের অভ্যন্তরে শহিদ হন।

নেতা হবার নিয়তি তাঁর ছিল না; তিনি একজন জেনারেল ছিলেন, কিন্তু যেমনতেমন জেনারেল ছিলেন না। গত বছরই আমি লিখেছি বাঙালি জাতির রয়েছেন তিনজন মহাসমর নেতা— রাসবিহারী বসু, সুভাস চন্দ্র বসু ও তাজউদ্দীন আহমদ। এঁরা তিনজনই বিশ্বরাজনীতি ও বিশ্বযুদ্ধের অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে উপমহাদেশের ও বাঙালির স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেছেন। এঁদের মধ্যে প্রধান দুটি পার্থক্য হলো— প্রথম দু’জন স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি, শেষজন দেখেছেন; আর প্রথম দু’জন ছিলেন একাধারে রাজনীতিক ও সমরবিদ, তৃতীয়জন রাজনীতিবিদ হিসেবে যতো না সফল তারচেয়ে বেশি সফল সমরবিদ হিসেবে। এসব বোধ করি নিয়তির খেলা।

১১ মার্চ ২০২৩; খোলাদ্বার কারাগার।

-লেখক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।