Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জবি শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবিতে বশেমুরবিপ্রবিতে অবস্থান কর্মসূচি

জবি শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবিতে বশেমুরবিপ্রবিতে অবস্থান কর্মসূচি

196

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সকল ব্যক্তির নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান বলেন, রাষ্ট্রেরতো কর্তব্য সকলের ফ্রিডম অব স্পিচ বা বাকস্বাধীনতাকে নিশ্চিত করা। একজন ১৮ বছরের মেয়ে একটি প্রশ্ন তুলবে বা সমলোচনা করবে সেটুকু যদি রাষ্ট্র না নিতে পারে তাহলে রাষ্ট্রের বাকি নাগরিকদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তাকে এক বছর আটকে রাখার যৌক্তিকতা কি? এটা তো একটি নিবর্তনমূলক আইন বোঝায় যায়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের উচিত এর বিরুদ্ধে কথা বলা। আমি সেই অবস্থান থেকেই দাঁড়িয়েছি।

শিক্ষার্থীরা জানান, একজন অতিথি বক্তার “বিতর্কিত” মন্তব্যের জের ধরে ফেসবুক ও ইউটিউবে একটি ওয়েবিনার হোস্ট করার “অপরাধ”-এ যখন খাদিজার জাতীয় পরিচয়পত্র ও অ্যাকাডেমিক ডকুমেন্টে বয়স ১৭ বছর তখনই তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। এর দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র সম্প্রতি তৈরি হলে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজার মিরপুরের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগ পর্যন্ত খাদিজার অভিভাবক, তার আত্মীয়-স্বজন কেউই জানতেন না খাদিজার বিরুদ্ধে দুই বছর আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একাধিকবার নিম্ন আদালতে খাদিজার জামিনের আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর হয়।

তারা আরও বলেন, খাদিজাতুল কুবরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় ৩৬৫ দিন যাবৎ কারাগারে আটক আছেন। কিডনিতে পাথরসহ নানারকম শারীরিক উপসর্গে আক্রান্ত থাকার পরও বারবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা না করে, এমনকি মামলার রায়ের আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য নির্দিষ্ট কনডেম সেলে খাদিজাকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তারা খাদিজার নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজা কুবরাকে অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলায় গত বছরের ২৭ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়।