Home রাজনীতি জনগণের বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে পারলে মানবমুক্তি সম্ভব: মেনন

জনগণের বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে পারলে মানবমুক্তি সম্ভব: মেনন

18

স্টাফ রিপাের্টার: “বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বামপন্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জনগণের বিকল্প শক্তি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কমরেড অমল সেনের জীবন থেকেই এই শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কমরেড অমল সেন এর জীবনাদর্শ থেকেই তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এই শিক্ষা নিলে দেশের বিদ্যমান বুর্জোয়া রাজনৈতিক বলয়ের বিপরীতে জনগণের বাম-বিকল্প গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে সাম্রাজ্যবাদি শক্তিদের সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করতে সকল বাম-গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
বুধবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ কমরেড অমল সেনের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। সকাল ১১টায় তোপখানা রোডস্থঃ শহীদ আসাদ মিলনায়তনে স্থাপিত কমরেড অমল সেনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদ সভাপতি কমরেড হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ূয়া, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. আবদুস সবুর, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড কামরূল আহসান।
সভার শুরুতে কমরেড অমল সেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি ঢাকা জেলা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি গাজীপুর জেলা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি মানিকগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ঐক্য ন্যাপ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি ফেডারেশন, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। শ্রদ্ধাজ্ঞলি অর্পণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন।