Home জাতীয় চুয়েট বন্ধ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন

চুয়েট বন্ধ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন

29

চট্টগ্রাম অফিস: গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে গতকাল (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে (১৫ জুন) সকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, “ছাত্র ইউনিয়ন সর্বদাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিতে তৎপর থেকেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তার ছাত্রসংগঠন তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে হামলা করা, আন্দোলন দানা বাঁধতে না দেওয়ায় যেন তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। অথচ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোন আন্দোলনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমরা ছাত্রদলের সন্ত্রাস দেখেছি, এখন আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করছি। বিগত ১৩ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, মারাও গিয়েছেন কয়েকজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে বরাবরই ব্যর্থ। নামকাওয়াস্তে কয়েকমাসের জন্য বহিষ্কার করেই তারা দায় সারেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তব্য। তারা এ কাজে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। শহীদ মঈন হোসেন রাজুর রক্তের শপথ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এসে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাই আমরা।”

ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধ করতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণারও তীব্র সমালোচনা করেন নেতৃবৃন্দ।